দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) ছেড়েছে শরীয়াহ্‌ আন্দোলন বাংলাদেশ নামের একটি দল।

জোটত্যাগী অনিবন্ধিত এ দলটির অভিযোগ, জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ওয়াদা খেলাপ করেছেন। স্বেচ্ছাচারী আচরণ করেছেন।

গত বছরের এপ্রিলে এরশাদ ৫৮টি দলের ঢাউস জোট করেছিলেন। পরে এতে যোগ দেয় খেলাফত মজলিস। এ দলসহ জাপার নেতৃত্বাধীন জোটে নিবন্ধিত দল মোট তিনটি। বাকি দলগুলো নামসর্বস্ব। তাদের বেশির ভাগের কার্যালয়, এমনকি কমিটিও নেই।

সম্মিলিত জাতীয় জোটের ধর্মভিত্তিক ৩৪ দলের মোর্চা 'জাতীয় ইসলামী মহাজোটের' শরিক শরীয়াহ্‌ আন্দোলন। দলটির আমির মুফতি মুহম্মদ মুহিবুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, দলের মজলিশে শূরার সভায় জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মজলিশে শূরার বৈঠকের পর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরশাদ এর আগে চরমোনাইয়ের পীরের সঙ্গে জোট করে ওয়াদা খেলাপ করেছিলেন। এরশাদের স্বভাব সংশোধিত হয়েছে— এমন আশা থেকে তারা জোটে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

মুহম্মদ মুহিবুল্লাহ জানান, 'জাতীয় ইসলামী মহাজোটের' চেয়ারম্যান আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক একজন প্রতারক। এরশাদের নাম ভাঙিয়ে সরকারি দপ্তরে তদবির বাণিজ্য করেন তিনি। বারবার জানানোর পরও এরশাদ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিনি জোট করতে চেয়েছিলেন রাজনীতিতে চমক দিতে। কাজ উদ্ধার হয়ে যাওয়ার পর শরিকদের খবর আর নিচ্ছেন না। অভিযোগ করলে বলেন 'ইচ্ছা হলে জোটে থাকো, নয়তো চলে যাও।'

মুহম্মদ মুহিবুল্লাহর দাবি, তার দলের কর্মী ও সমর্থক রয়েছে। সাংগঠনিক শক্তি এবং জনভিত্তিও আছে। এগুলো কাজে লাগিয়ে এরশাদের জোটে অবস্থান তৈরি করেছেন আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুক। অথচ জোটে তাদের কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি।

মুহম্মদ মুহিবুল্লাহর এসব অভিযোগ সম্পর্কে আবু নাসের ওয়াহেদ ফারুকের বক্তব্য, যার যা ইচ্ছা বলতে পারে। তিনি এসব বিষয়ে কোনো জবাব দেবেন না।

এরশাদ ও জাপার মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। দলটির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের সমকালকে বলেন, জোটের ভাঙন বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

একই জবাব দিয়েছেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, কোন কোন দল জোটে আছে সেটাই তার জানা নেই।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/সেপ্টেম্বর ২৭,২০১৮)