দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর রূপনগর থানা হেফাজতে ধর্ষণ মামলার এক আসামি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই এক তৈরি পোশাককর্মীর দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুক্রবার ভোরে থানাহাজতে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

ওই আসামির নাম কাউসার (২০)। তিনি রূপনগর এলাকায় থাকতেন। আর মামলার বাদী পোশাককর্মীকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। দুজন একে অপরের পরিচিত। পোশাককর্মী বিবাহিত।

মামলার বরাত দিয়ে রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. শাহ আলম দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে কাউসার ওই পোশাকর্মীর বাসায় যান। সেখানে তাঁকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে নেশাজাতীয় ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেন। পরে তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

‘ঘটনাটি টের পেয়ে আশপাশের লোকজন কাউসারকে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। পরে রাতেই কাউসারকে আটক করা থানায় আনা হয়। রাত সোয়া ১টার দিকে ওই পোশাককর্মী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাউসারকে গ্রেফতার দেখানো হয়।’

ওসি আরো দাবি করেন, কাউসার থানার হাজতখানায় আটক ছিলেন। ভোরের দিকে তিনি হাজতের ভেতরে রডের সঙ্গে নিজের শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। তাঁকে উদ্ধার করে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সকাল সোয়া ৯টায় মৃত ঘোষণা করেন।

ময়নাতদন্তের জন্য কাউসারের লাশ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮)