দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : প্রজাপতি মানেই বর্ণিলতা। অদ্ভূত সুন্দর পতঙ্গটি শরীরে ছড়িয়ে থাকে রংয়ের বাহার। রাজধানীর ধানমন্ডিতে দৃক গ্যালারির দেয়ালে এখন শোভা পাচ্ছে নানা প্রজাপতির আলোকচিত্র।



দেশের ৮টি জেলা ঘুরে এই প্রজাপতির ছবিগুলো তুলেছেন বাটারফ্লাই অব বাংলাদেশ ইনভেন্টরি দলের একঝাঁক তরুণ। দলটি প্রজাপতির ছবি তোলার পাশাপাশি সেগুলোর সনাক্তকরণ ও আবাসস্থলসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করেছে। সেই সব ছবি নিয়ে শুক্রবার হয়েছে ‘ছবি দেখে শেখা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

এদিন বিকেলে প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন আইইউসিএন’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইশতিয়াক উদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রদর্শনীর পৃষ্ঠপোষক এইচএসবিসি ব্যাংকের বাংলাদেশ শাখার চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার স্টিফেন জন বল।

এছাড়াও বক্তব্য দেন ইনভেন্টরি দলের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন ও দলপ্রধান মীর্জা শামীম আহসান হাবিব।

ইশতিয়াক উদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রকৃতির সবচেয়ে রঙিন প্রাণী প্রজাপতি। একই সঙ্গে এটি একটি দেশের সুস্থ আবহাওযার সুস্থ দিকনির্দেশক। প্রদর্শনীতে এ দেশের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য উঠে এসেছে। এর ফলে নতুন প্রজন্ম এ দেশের প্রাণীকূলের বৈচিত্র্যময়তা জানার সুযোগ পাবে।

প্রদর্শনীতে সব মিলিয়ে ৬৪ প্রজাতির প্রজাপতির ৮২টি ছবির দেখা মিলবে। বিশাল আকারের প্রতিটি ছবিতে প্রজাপতিগুলো প্রচলিত ও বৈজ্ঞানিক নাম, কোন পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, কি ধরনের গাছে বসবাস করে এবং পাখার দৈর্র্ঘ্য সম্পর্কে তথ্য দেওয়া রয়েছে। একইসঙ্গে আলোকচিত্রে প্রজাপতির নান্দনিক রূপ তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীতে।

দলটির দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযানে গাজীপুর, নরসিংদী, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, পঞ্চগড় ও বান্দরবানের লামা উপজেলার বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতির বৈশিষ্ট্য নিরূপণের পাশাপাশি সেগুলোর ছবি তুলেছে। ইতোমধ্যে তারা ১৬টি জেলায় কাজ শেষ করেছে। দলটি আশা করছে, আগামী ৭ বছরে বাকি ৪৮টি জেলার প্রজাপতির বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ ও ছবি ধারণ করে সাধারণের মাঝে উপস্থাপন করবে।

প্রজাপতিবিষয়ক এই ইনভেন্টরি দলের সদস্যরা হলেন- মীর্জা শামীম আহসান হাবিব, শাহতাবুল ইসলাম, অভ্র ভট্টাচার্য, কাজী ফরহাদ ইকবাল, মনোয়ার মাহমুদ জুয়েল, সিকদার নিজামুল হক, সাইফুদ্দিন সাইফ ও মারুফুল আলম।

শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
(দিরিপোর্ট২৪/এসবি/নভেম্বর ০৮, ২০১৩)