কণ্ঠশিল্পী আসিফের মামলার প্রতিবেদন ৩১ অক্টোবর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর হাকিম এইচ এম তোয়াহা নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।
অপরদিকে অসিফ অসুস্থ হওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন দাখিল করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চ লাইট নামের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসিফ আকবর অনুমতি ছাড়াই তার সংগীতকর্মসহ অন্যান্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন।
পরে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এ ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দেন। তার ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরদিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ আকবর তার প্রায় ৩২ লাখ লাইকার সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিওর ২২ মিনিট থেকে তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন।
ভিডিওতে আসিফ আকবর তাকে (শফিক তুহিন) শায়েস্তা করবেন-এ কথা বলার পাশাপাশি ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাকে যেখানেই পাবেন, সেখানেই প্রতিহত করবেন। এ নির্দেশনা পেয়ে আসিফ আকবরের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। আসিফ আকবরের এ বক্তব্য লাখ লাখ মানুষ দেখেছে। তিনি উস্কানি দিয়েছেন। এতে তার (শফিক তুহিন) মানহানি হয়েছে।
এজাহারে শফিক তুহিন আরও উল্লেখ করেন, বিষয়টি সংগীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ০১, ২০১৮)