দুর্গাপূজাকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা : ডিএমপি কমিশনার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) ডিএমপি’র সদর দফতরে আয়োজিত আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। খবর বাসসের
ডিএমপি কমিশনার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, দুর্গাপূজাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমে ছড়ানো কোন গুজবে কান না দিয়ে নিশ্চিন্তে উৎসব উদযাপন করুন, পুলিশ নিরাপত্তা দিবে।
শারদীয় দুর্গাপূজার কার্যক্রম ৮ অক্টোবর শুভ মহালয় দিয়ে শুরু হবে। ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা ঢাকা মহানগরীতে ২৩০টি পূজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পূজা মন্ডপের গুরুত্বানুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আপনারা দুর্গাপূজার উৎসব নিশ্চিন্তে উদযাপন করুন, রাষ্ট্র আপনাদের নিরাপত্তা দিবে। সোশ্যাল মিডিয়াসহ যেকোন গুজবের বিরুদ্ধে সচেতন থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কেউ মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্ন করার অপচেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন সর্ম্পকে কমিশনার বলেন- ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রতিমা তৈরী থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত কার কি দায়িত্ব তার নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অফিসারদের দেয়া হয়েছে । নিরাপত্তার জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে এবং এখান থেকে রাজধানীর সব পূজামন্ডপের নিরাপত্তা তদারকি করা হবে। পূজামন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রতিটি মন্ডপে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ডিসি ও ওসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
দুর্গাপূজায় ডিএমপি পক্ষ থেকে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নির্দেশনায় বলা হয়, প্রত্যেক পূজামন্ডপে ইন ও আউটের জন্য আলাদা গেইটের ব্যবস্থা, মন্ডপের ভিতরে ও বাহিরে জেনারেটরসহ পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা, সিসিটিভি-আর্চওয়ে স্থাপন, পুরুষের পাশাপাশি মহিলা স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা, এসবি, পুলিশ ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল সুইপিং করা ও বিসর্জনের দিনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা।
এছাড়াও পূজামন্ডপ কেন্দ্রিক কোন হকার ও ভ্রাম্যমান দোকান বসাতে দেয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ করে কোন ধরণের মেলা বসতে দেয়া হবে না। ছিনতাই ও ইভটিজিং প্রতিরোধে মোতায়েন থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য। পূজামন্ডপে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশী করে প্রবেশ করানো হবে।
সভায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারি সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, সিটি করপোরেশন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটি এবং ঢাকা মহানগর দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/অক্টোবর ০২,২০১৮)