দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মঙ্গলবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৭ গোলে উড়িয়ে দিয়েই সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছিল লাল-সবুজদের উজ্জীবিত মেয়েরা। দ্বিতীয় জয়ে গ্রুপসেরা হয়ে পরের পর্বে পা রাখা নিশ্চিত করল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। শুক্রবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। অন্য সেমিতে লড়বে ভারত-নেপাল।

ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাতটায় শুরু ম্যাচে গোল পেতে ১৬ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্না ৭ গোল করেছিলেন। এদিন সেই স্বপ্নার গোলেই খাতা খোলে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে নেপালও বড় জয় পেয়েছিল, ১২ গোলে। সেই ম্যাচে একাই ৭ গোল করেন নেপালি স্ট্রাইকার রেখা পাওদেলও। এদিন তিনি বাংলাদেশ রক্ষণে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি।

তবে নেপাল ম্যাচে সহজে পার পায়নি বাংলাদেশ। মার্জিয়া-কৃষ্ণাদের আক্রমণগুলো ব্যর্থ করে দেয়ার পাশাপাশি নেপালিরাও আক্রমণ গড়তে চেষ্টা করেছে। এরমাঝেই ৩২ মিনিটে দ্বিতীয় সফলতা তুলে নেয় লাল-সবুজরা। এবারের গোলদাতা শ্রীমতী কৃষ্ণারানি। তাতে দুই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতির পরও নিজেদের খেলাটা ধরে রেখেছিল বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণও শানিয়েছে। তবে গোলের দেখা পায়নি। খেলার ধারার বিপরীতে উল্টো যোগ করা সময়ে একটি গোল হজম করেন স্বপ্নরা। ৯২ মিনিটের সময় নেপালকে সান্ত্বনার গোলটি এনে দেন রেশমি কুমারি।

দারুণ এই জয়ে নেপালের বিপক্ষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ার ধারা অব্যাহত রাখল বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ে এবারই প্রথম দেখা দুদলের। তবে আগে বয়সভিত্তিক সব প্রতিযোগিতাতেই জয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ টুর্নামেন্টে ৬-০ গোলে জয়, একই টুর্নামেন্টে গত আগস্টে ভুটানের মাটিতে ৩-০ গোলে জয়, ২০১৬ সালে কাজাখস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে ১৪-০ গোলে জয়, আর ২০১৫ সালে নেপালকে ১-০ গোলে হারানোর সুখস্মৃতি আছে লাল-সবুজদের।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/অক্টোবর ০২,২০১৮)