'গায়েবি' মামলা নিয়ে হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে 'গায়েবি' মামলা তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি প্রশ্নে বিভক্ত এ আদেশ দেন।
আদেশে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী 'গায়েবি' মামলা নিয়ে রুল জারি করেন। রুলে গায়েবি মামলা হিসেবে অভিযোগকারীসহ অন্যান্য ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকায় দায়ের হওয়া মামলাগুলো তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলেও পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বেঞ্চের অপর বিচারপতি আশরাফুল কামাল তার আদেশে বলেন, রিটটি সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুসারে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে প্রত্যাখ্যান (খারিজ) করা হলো। এর ফলে নিয়ম অনুসারে মামলাটি এখন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ থেকে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে পাঠানো হবে। এরপর প্রধান বিচারপতি মামলাটির শুনানির জন্য হাইকোর্টে অন্য আর একটি বেঞ্চকে দায়িত্ব প্রদান করবেন।
রিকারীদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
বিভক্ত আদেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিধি অনুসারে মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। এরপর তিনি মামলাটি শুনানির জন্য অন্য একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। ওই বেঞ্চ ফের শুনানি নিয়ে আদেশ দেবেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কার কল্পিত মামলার তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন আইনজীবী এ কে খান। সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী ও সানাউল্লাহ্ মিয়ার পক্ষে এ রিটটি দায়ের করা হয়।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর), রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, রমনা ও শাহবাগ থানার ওসিসহ নয়জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ ছাড়া রিটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে 'গায়েবি' মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এ ধরনের 'কল্পিত' মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানাতে বিবাদীদের প্রতি রুল জারির জন্য আদালতের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। পরে রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে গত দুইদিন শুনানি গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/অক্টোবর ০৯,২০১৮)