যেসব কারণে বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে আগ্রহী নয়
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের মেয়েদের বয়সভিত্তিক দলগুলো দক্ষিণ এশিয় পর্যায়ে ভালো করছে ৪-৫ বছর ধরে। মূলত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা নামের একটি নারী স্কুল টুর্নামেন্ট থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসছেন এসব নারী ফুটবলার। যার মধ্যে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর নামটি বেশ পরিচিত। তবে ঢাকা বা বিভাগীয় শহরগুলোতে মেয়েদের ফুটবল খেলাটা খুব একটা পরিচিত দৃশ্য নয়। খবর- বিবিসির।
কিন্তু কেনো?
ফেডারেশন কী ধরণের চেষ্টা করেছে?
নারী ফুটবল উইঙের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়।
তিনি বলছেন ফেডারেশন এই উদ্যোগ নিয়েছিল আগেই, ২০০৮ সালে।
তবে সেবার যেসব ফুটবলার তুলে আনা হয়, তারা জাতীয় দলে খেলতে চাননি।
"একদম শুরুতে আমি যখন ডেপুটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাই, মহানগর পর্যায়ে মেয়েদের স্কুল টুর্নামেন্ট চালু করি," বলছিলেন মিজ কিরণ। সেখানে বেশ বেগ পেতে হয় ফেডারেশনকে।
অভিভাবকদের ইচ্ছা ছিলো না
মিজ কিরণ বলেন, 'শিক্ষকদের সাথে কথা বলে, অভিভাবকদের সাথে কথা বলে নানা ধরণের চেষ্টা তদবির করে মেয়েদের মাঠে নামানো হয়।'
"তবে বেশ কজন ভালো ফুটবলার বাছাই করার পর, তারা আর জাতীয় দলে খেলতে রাজি হননি," এক্ষেত্রে অভিভাবকদের অনাগ্রহ বেশি বাঁধা তৈরি করেছে।
"পড়াশোনা বাদ দিয়ে অভিভাবকরা ফুটবলে মেয়েদের আসতে দিতে চাননি, এক্ষেত্রে বাফুফে বিনিয়োগ করে কোনো সুবিধা করতে পারেনি," বলছিলেন মিজ কিরণ।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, বাফুফে চেয়েছিলো পড়াশোনা করা মেয়েরা যদি ফুটবলে আসে সেক্ষেত্রে মেধায়ও এগিয়ে যাবে নারী ফুটবল।
সামাজিক সমস্যা কেমন?
কথা বলছিলাম আনোয়ারুল হক হেলালের সাথে, যিনি দক্ষিণ এশিয়ায় ফুটবল নিয়ে কাজ করছেন।
তিনি মূলত সামাজিক সমস্যার দিকে নজর দিয়েছেন।
"মেয়েদের ফুটবল খেলাটাকে কতটা গ্রহণ করা হয় সেটা মূল ব্যাপার, এটা সামাজিকতার বিষয়।
মহিলা কমপ্লেক্সে খেলা হয়েছিলো একটা স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের, সেখানে ইংরেজি মাধ্যমের মেয়েরাও এসেছিল। কিন্তু তারা ঐ পর্যন্তই থেমে যায়," আনোয়ারুল হক হেলাল বলছিলেন।
তারা শিক্ষাটাকে বেশি গুরুত্ব দেন বলে মনে করেন মি. হেলাল।
পেশাদারিত্ব আনলে কী সমস্যা সমাধান হবে?
আনোয়ারুল হক হেলালের মতে, পেশাদারিত্ব ভিন্ন জিনিস। বাংলাদেশে ছেলেদের ফুটবলও আক্ষরিক অর্থে পেশাদার নয়।
তবে লিগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।
"যতদিন ফুটবল ফেডারেশনের ক্যাম্পে খাওয়া দাওয়া বসবাসের সুবিধা পাবেন এরা ততদিন এরা থাকবে। সেক্ষেত্রে কিন্তু আয়ের উৎস হচ্ছে না। এটা স্বাভাবিক তারা এরপর আর উৎসাহ পাবেন না ফুটবলে।"
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১০, ২০১৮)