একনেকে আরও ২০ প্রকল্প উঠছে আজ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একদিনের ব্যবধানে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে আরও ২০ প্রকল্প। গত মঙ্গলবারই পাস হয়েছে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প। শেষ দিকে এসে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনুমোদন পায় সাড়ে ৩২ হাজার কোটি টাকার ২০ প্রকল্প। এরপর একদিন বিরতি দিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) আবার ডাকা হয়েছে একনেক বৈঠকে। এতে ১৭টি প্রকল্প উপস্থাপনের বিষয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে। এর বাইরে টেবিলে উপস্থাপনের জন্য তিন প্রকল্প প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই প্রকল্প অনুমোদন এবং সংশোধন করাতে প্রচুর প্রকল্প আসছে। আবার এসব প্রকল্প দ্রুত পাস করানোর বিষয়ে তৎবির ও লবিং রয়েছে। ফলে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের চাপে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের। এর মধ্যে ভৌত অবকাঠামো এবং কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারা বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরকারের শেষসময়ে বিপুল পরিমাণে প্রকল্প প্রণয়নের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সফলতাও নিয়ে সন্দীহান তারা। বেহিসাবী প্রকল্পের কারণে সরকারের সার্বিক উন্নয়নে অর্থ সংকটসহ সার্বিক কাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বৃহস্পতিবারের একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষা রয়েছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস নির্মাণ, রাজশাহী ওয়াসার ভূ-উপরিস্ত পানি শোধনাগার নির্মাণ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস/ট্রাক টার্মিনাল তৈরি, ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, বৈরাগীরপুল (বরিশাল) টুমচর-বাউফল (পটুয়াখালী) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের নিমিত্ত নন্দীগ্রাম-তালোড়া-দুপচাঁচিয়া-জিয়ানগর-আক্কেলপুর মহাসড়ক এবং নন্দীগ্রাম-কালিগঞ্জ-রাণীনগর জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান চত্বরে একটি বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, চট্টগ্রাম জোন (দ্বিতীয় পর্যায়), মোল্লাহাটে ১০০ মেগাওয়াট সোলার পিভি পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি, যশোর অঞ্চলের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, খুলনা-বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ, সংস্কার ও আধুনিকায়ন প্রকল্প (তৃতীয় সংশোধিত), পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন, বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ উন্নয়ন প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়), রংপুর জেলার মিঠাপুকুর-পীরগাছা-পীরগঞ্জ ও রংপুর সদর উপজেলায় যমুনেশ্বরী, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর তীর সংরক্ষণ ও নদী পুনঃখনন, উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন এবং দ্য প্রজেক্ট ফর দ্য ইমপ্রুভমেন্ট অব রেসকিউ ক্যাপাসিটিস ইন দ্য কোস্টাল অ্যান্ড ইনল্যান্ড ওয়াটারস প্রকল্প।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১১, ২০১৮)