দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আমদানির তুলনায় রফতানি কমে যাওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) আমদানিতে ৮৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয় হলেও রফতানি হয়েছে ৬৭১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের।

এতে বাণিজ্য ঘাটতি ২১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার বা দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ছিলো ১৭৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ৩৪ কোটি ১০ লাখ ডলার বা ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ।

রফতানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় যেটুকু বেশি, তার পার্থক্যকেই বাণিজ্য ঘাটতি বোঝায়। আর চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝানো হয়। আমদানি-রফতানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, রফতানির ক্ষেত্রে যেভাবে মূল্যপতন হচ্ছে আমদানির ক্ষেত্রে সেভাবে হচ্ছে না। এতে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম আবারও বেড়েছে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে একই থাকার পর প্রতি ডলারে ৫ পয়সা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৩ টাকা ৮০ পয়সা। তিন মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা মূল্য বেধে দেয়। এখন তা আরো ৫ পয়সা বেড়েছে। তবে এক রকম ঘোষণা দিয়ে আরেক দামে ডলার বিক্রির অভিযোগ রয়েছে ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে। এমন পরিস্থিতিতে রেমিট্যান্স যদি কমে যায় তাহলে ডলারের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়ন আরো বাড়বে। এতে রফতানি আয়ের উপর চাপ আরো বেড়ে যাবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১৬, ২০১৮)