নির্গত কার্বনই যখন উড়োজাহাজের জ্বালানি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আকাশে উড়ে চলা বিমানটি যদি চলে বর্জ্য থেকে উৎপাদিত জ্বালানি দিয়ে, তাহলে একটু অবাক হতেই হয়। এমনটাই কিন্তু ঘটেছে ব্রিটিশ এয়ারলাইনস ভার্জিন আটলান্টিকের একটি উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে। অরল্যান্ডো থেকে লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সে ফ্লাইটটিই নাকি প্রথম কোনো ফ্লাইট, যাতে শিল্প বর্জ্য থেকে তৈরি করা জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে বোয়িং সেভেন ফোর সেভেন লন্ডনের এয়ারপোর্টে অবতরণ করে স্বাভাবিকভাবেই। মূলত জেট ফুয়েলের সঙ্গে ওয়েস্ট গ্যাস থেকে উৎপাদিত ইথানল মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে উড়োজাহাজের জ্বালানি।
ভার্জিন আটলান্টিকের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন গার্ডিয়ানে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, বর্জ্য, শিল্প-কারখানা থেকে কার্বনসহ গ্যাস সহযোগে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ এ জেট ফুয়েল। বলা চলে বর্জ্যগুলোকে নতুন জীবন দিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে সেসব কোনোভাবেই আর মাটির সঙ্গে মিশে যেতে না পারে। এটি মূলত আমাদের প্রথম পদক্ষেপ খানিকটা ভিন্ন ধাঁচে জ্বালানি তৈরির ক্ষেত্রে।
আমেরিকান প্রতিষ্ঠান লাঞ্জাটেক উত্পন্ন করে পরিবেশের কথা বলা ভিন্ন ধাঁচের এ জ্বালানি। বিভিন্ন শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড কাজে লাগিয়ে তৈরি করা সম্ভব এ ধরনের জ্বালানি। এতে পরিবেশের ওপর কার্বনের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করা সম্ভব অনেকটাই।
লাঞ্জাটেকের চিফ এক্সিকিউটিভ জেনিফার হোমগ্রেন বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান এটি দেখিয়েছে যে, নির্গত কার্বন থেকে জেট ফুয়েল প্রস্তুত করা সম্ভব। আমাদের উচিত হবে বর্জ্য বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্বনকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা। কেননা এটি বারবার ব্যবহাযোগ্য করে তোলা সম্ভব।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/অক্টোবর ১৭,২০১৮)