দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ঋতুবদলের ইঙ্গিত বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে বাতাসে৷ এ সময় একটু হেরফের হলেই সর্দি-কাশির একটা সমস্যায় ভুগতে আরম্ভ করেন অনেকেই৷ সারারাত শুকনো কাশি কাশতে কাশতে বুকে ব্যথা ধরে যায়৷ এই পরিস্থিতিতে আপনিও নাজেহাল? জানেন তো, আমাদের শরীর যখন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মিউকাস তৈরি করে, তখনই বাড়তি মিউকাস নাকের দিক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ চলতি কথায় সেটাকেই আমরা বলি ‘নাক দিয়ে পানি পড়া’৷

যদি মিউকাস নাক দিয়ে বেরোতে না পেরে চুঁইয়ে গলায় নামে– তা হলে তা হয়ে দাঁড়ায় শুকনো কাশির কারণ৷ মিউকাস কিন্তু যে কোনো ইনফেকশনের সঙ্গে লড়তে এবং তা তাড়াতে সাহায্য করে৷ কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত মিউকাস শরীর তৈরি করলেই সমস্যা শুরু হয়৷ আচমকা ঠাণ্ডা পড়লে, অ্যালার্জি হলে, সাইনাসের ইনফেকশন দেখা দিলে, ধোঁয়া-ধুলো বা বিশেষ কোনও গন্ধ ট্রিগার হিসেবে কাজ করলে এমনটা হতে পারে৷ যাঁদের নাকের হাড় একটু বাঁকা, তাঁরা প্রায়ই এই সমস্যায় ভোগেন৷ গর্ভাবস্থায় বা কোনও বিশেষ ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেও এমনটা দেখা দিতে পারে৷ নাক দিয়ে সর্দি বেরনো, কাশি ছাড়াও গলা ব্যথা, শ্বাসে দুর্গন্ধ, ঢোক গেলায় সমস্যাও হতে পারে৷

দিনে দু’বার স্টিম নেওয়ার পাশাপাশি অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ খেলেই সাধারণত সমস্যা সেরে যায়৷ যাঁরা খুব অ্যালার্জিতে ভোগেন তাঁর ডিসপোজ়েবল মাস্ক ব্যবহার করতে আরম্ভ করুন ঋতু বদলের সময়টায় অন্তত৷

গলার কাছটায় আরামের জন্য উষ্ণ জলে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার আর মধু মিশিয়ে খেতে পারেন৷ আদা আর মধু দিয়ে চা খাওয়াও চলে৷ দুধ আর কাঁচা হলুদ বেশ করে ফুটিয়ে পান করুন, শরীরের ভিতরের সব ইনফেকশন কমাতে তা কার্যকর৷

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ১৮, ২০১৮)