দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আফগানিস্তানে দীর্ঘ বিলম্বিত নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন কয়েক লাখ মানুষ। ব্যাপক নিরাপত্তা ও তালেবান হুমকির মধ্যেই এ ভোটগ্রহণ চলছে। ২৫০ আসনে বহু নারীসহ আড়াই হাজারের বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খবর- বিবিসি।

কিন্তু নিরাপত্তার কারণে ৩০ ভাগের বেশি ভোটকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। আর আজকের নির্বাচনের ভোটাভুটির আগে ১০ জন প্রার্থী বিভিন্ন হামলায় নিহত হয়েছেন।

এদিকে একজন শীর্ষ পুলিশ প্রধানকে আততায়ী হামলায় হত্যার ঘটনায় কান্দাহার প্রদেশে নির্বাচন এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিজেরই একজন দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন জেনারেল আব্দুল রাজিক।

জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবান ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। মার্কিন কমান্ডার জেনারেল স্কট মিলারের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরাপত্তা বৈঠকের পর রাজিককে হত্যা করা হয়।

স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া নির্বাচনে প্রায় নয় লাখ মানুষ ভোট দিচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে সাত হাজার ভোটকেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা থাকলেও শেষপর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটাভুটি হচ্ছে।

অন্যদিকে তালেবানরা এই ‘ভুয়া’ নির্বাচন বর্জনে লোকজনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা।

নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৫৪ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের ২০ দিন পর আগামী ১০ নভেম্বর প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে ধারণা করা হচ্ছে।

আগামী বছরের এপ্রিলে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত এই ভোটাভুটি একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/অক্টোবর ২০, ২০১৮)