দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের সামনে এবার জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ রোববার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। এদিন দুপুর আড়াইটা থেকে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি ও গাজী টিভি।

অনেকদিন পর ঘরের মাঠে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। গত কয়েক মাস দেশের বাইরে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন ক্রিকেটাররা, আর আগামী কয়েক মাস ব্যস্ত থাকবেন নিজেদের আঙিনায়। জিম্বাবুয়ে সিরিজের ঠিক পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে বাংলাদেশ সফরে।

মুখোমুখি লড়াইয়ে টাইগাররা অনেক এগিয়ে। আগের ৬৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতেছে ৪১টি, আর জিম্বাবুয়ে ২৮টি। সর্বশেষ ১০ ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তবু অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার কণ্ঠে সমীহ, ‘জিম্বাবুয়ে দলে সিনিয়র ক্রিকেটাররা ফিরেছে, ওদের দলটা বেশ ভালো। নিজেদের সেরাটা দিয়েই জিততে হবে আমাদের।’

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে লড়াইয়ে সবচেয়ে সফল সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান (১ হাজার ৪০৪) করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৭৪ উইকেট নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে ইনজুরিতে পড়ে এই সিরিজে খেলতে পারছেন না সাকিব। একই কারণে নেই বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালও। মাশরাফি অবশ্য দুই তারকার অনুপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নন, ‘সাকিব-তামিমকে ছাড়াই এশিয়া কাপে আমরা ভালো খেলেছি। আশা করি, এই সিরিজেও ভালো খেলবো। তবে সেজন্য সবাইকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক বরং উইকেট নিয়ে দুশ্চিন্তায়, ‘আমরা জানি মিরপুরের উইকেট কতটা আনপ্রেডিকটেবল। এখানে হঠাৎ উইকেটের আচরণ বদলে যায়, বল নিচু হয়ে যায়। তবে আমি মনে করি, এই মাঠে দীর্ঘদিন খেলার পর কোনও অজুহাত দাঁড় করানো ঠিক নয়। শুধু এটুকু বলতে পারি, প্রথমে ব্যাট করে ২৫০/২৬০ করতে পারলে ওদের পক্ষে চেজ করা কঠিন হবে।’

জিম্বাবুয়ে সিরিজে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা জানিয়ে মাশরাফির মন্তব্য, ‘এশিয়া কাপে দল নিয়ে এক ধরনের অস্থিরতার মধ্যে ছিলাম। এক ম্যাচে একজন অসুস্থ তো অন্য ম্যাচে আরেকজন। এখন আমরা জানি, সাকিব-তামিম খেলবে না। এদিকে রুবেলও অসুস্থ ছিল, এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে দলে কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় নেওয়া হয়েছে। তাদের দেখে নেওয়ার এটাই সুযোগ। তবে ম্যাচ জেতাও গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, সেরা কম্বিনেশন নিয়ে মাঠে নামতে পারবো।’

শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। ঘরের মাঠে তাদের দারুণ সাফল্য। তবু আমার চোখে জিম্বাবুয়ে ফেভারিট। আমি জিম্বাবুয়েকেই এগিয়ে রাখছি।’

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২১, ২০১৮)