মাসুদা ভাট্টিকে আইনি নোটিশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ নোটিশে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু এই নোটিশ পাঠান।
সোমবার ব্যারিস্টার মইনুলের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মাসুদা ভাট্টিকে এ নোটিশ পাঠান। পাশাপাশি নোটিশের জবাব না পাওয়া গেলে মাসুদা ভাট্টির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএমপির পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়াও ওই উকিল নোটিশে মাসুদা ভাট্টি কোন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিটিংয়ে জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন, তা জাতির সামনে তুলে ধরতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি চ্যানেল ৭১-এর একটি টকশোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিটিংয়ে জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন বলে মন্তব্য করেন মাসুদা ভাট্টি। তিনি কোন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ কথা বলেছেন তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতির সামনে তুলে ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় ব্যারিস্টার মইনুলের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আর তা না করা হলে উপযুক্ত আইনের মাধ্যমে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও শাস্তি চেয়ে মানহানির (মাসুদা ভাট্টির বিরুদ্ধে) মামলা করা হবে।’
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘মাসুদা ভাট্টি তার মন্তব্যের মাধ্যমে মইনুল হোসেনের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছেন, যা ফৌজদারি আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’
নোটিশে বলা হয়, মাসুদা ভাট্টির কর্মকাণ্ড আমলযোগ্য অপরাধ হওয়ায় এবং এই আইনি নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপযুক্ত জবাব না দিলে তাকে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের সংশ্লিষ্ট ধারার অধীনে সাত দিনের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএমপির পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টক শো ‘একাত্তরের জার্নাল’ এ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন করেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আপনি যে হিসেবে উপস্থিত থাকেন- আপনি বলেছেন আপনি নাগরিক হিসেবে উপস্থিত থাকেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বলছেন, আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে উপস্থিত থাকেন।’
মাসুদা ভাট্টির এই প্রশ্নে রেগে গিয়ে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কানেকশনের কোনো প্রশ্নই নেই। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর।’
পরে ওই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
অপরদিকে মইনুলের একই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামালপুর ও কুড়িগ্রামে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মানহানির মামলা করা হয়েছে। তবে ঢাকা ও জামালপুরের মামলা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মইনুল।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/অক্টোবর ২২, ২০১৮)