যশোর প্রতিনিধি: সাংবাদিক দানিয়েল হাবিব নোভা আর নেই । সোমবার ভোরে যশোর শহরের নিজ বাড়িতে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, (ইন্না লিল্লাহি অ ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  তিনি নোভা খন্দকার নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন।

তার চাচা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের যশোর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি হারুণ-অর-রশীদের ধারণা, বিষণ্নতার কারণে সে আত্মঘাতী হতে পারে।
মৃত্যুকালে নোভার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। যশোর শহরের বেজপাড়া কবরস্থান এলাকার আহসান হাবিবের ছেলে তিনি। মা নাসরিন বেগম একটি বিদ্যালয়ে চাকরি করতেন। তিনি এখন অবসরে আছেন। স্ত্রী শম্পা পাবনায় চাকরি করেন। একমাত্র ছেলে নাজ্জার হাবিবের বয়স সাত বছর। সে মায়ের সাথে থাকে ও পাবনার একটি বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
হারুণ-রশিদ আরো জানান, নোভা মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছিলো ছিল। এ কারণে হয়তো সে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে।


নোভার নিকট আত্মীয় ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, নোভা ফজরের নামাজ পড়ে চা পান করে। এরপর কোন এক সময় সবার অগোচরে অাত্মহত্যা করে।
নোভার সহকর্মী সাংবাদিকরা জানান, নোভা খন্দকার দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি দৈনিক দেশহিতৈষী, দৈনিক লোকসমাজ, ইসলামিক টেলিভিশন, দ্য রিপোর্ট, দৈনিক ঝিনাইদহের বাণি, দৈনিক ছাড়পত্রসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন মিশুক প্রকৃতির। তবে স্থিরভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে বেশিদিন থাকেননি।

স্বজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সোমবার সকাল দশটার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যায়। সেখান থেকে লাশ বাড়িতে এনে গোসল করিয়ে প্রেসক্লাব যশোরে নেয়া হয়। সেখানে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর জানাজা শেষে বেজপাড়া কবরস্থানে তার দাফন হয়।
নোভা প্রেসক্লাব যশোরেরও সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনও করেছেন।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/অক্টোবর ২২,২০১৮)