ঢাকার সিএমএম আদালতে মইনুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে থেকে ঢাকার মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে নেওয়া হয়েছে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে তাকে বহনকারী ডিবির গাড়িটি আদালত প্রাঙ্গণে পৌঁছায়।
এদিকে এ মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলের জামিনের আবেদন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলামের আদালতে তার আইনজীবীরা এ আবেদন করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জামিন শুনানি চলছে।
এ আগে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে থেকে তাকে আদালতের উদ্দেশে নেয়া হয়।
সোমবার (২২ অক্টোবর) রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
আটকের পরপরই ব্যারিস্টার মইনুলকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়। তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে জানান, ব্যারিস্টার মইনুলকে রংপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
রংপুরে সোমবার ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া। তিনি রংপুর নগরীর মুলাটোল মহল্লার বাসিন্দা।
মামলাটি তার পক্ষে রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আইনুল হোসেন। আদালতের বিচারক আরিফা ইয়াসমিন মুক্তা মামলাটি গ্রহণ করেন।
মইনুল হোসেনকে গ্রেফতারের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার চাওয়া প্রচলিত আইনে তার বিচার হোক। সত্য প্রকাশ পাক। তার ওপর আমার ব্যক্তিগত কোনো রাগ বা ক্ষোভ নেই।
জানা গেছে, ব্যারিস্টার মইনুল সোমবার রাতে উত্তরায় আ স ম আবদুর রবের বাসায় বৈঠক করতে যান। আটকের আগে ডিবি পুলিশের একটি টিম তার সঙ্গে দেখা করে। তার গতিবিধি লক্ষ্য করছিলেন গোয়েন্দারা। একজন পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তা এর নেতৃত্ব দেন।
এদিকে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি কোন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মিটিংয়ে জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন বলে যে মন্তব্য করেছেন তা জাতির সামনে তুলে ধরতে তাকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সোমবার আইনজীবী সমাজের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু রেজিস্ট্রি ডাকযোগে মাসুদা ভাট্টিকে এ নোটিশ পাঠান।
পাশাপাশি নোটিশের জবাব না পাওয়া গেলে মাসুদা ভাট্টির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ডিএমপি পুলিশ কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া ওই উকিল নোটিশে মাসুদা ভাট্টিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২৩, ২০১৮)