দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : চলমান শেয়ারবাজারে পতনের পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ খুঁজে পায়নি শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা। তবে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যাতে বিনিয়োগকারীরা ভয়ে লোকসানেও শেয়ার বিক্রয় করে দিচ্ছেন। এরফলে শেয়ারবাজারে পতন হচ্ছে। এমতাবস্থায় সহায়তা করতে বন্ডের ২ হাজার কোটি টাকার পুরোটাই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশে (আইসিবি)।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকালে আইসিবিতে স্টেকহোল্ডারদের বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো. সাইফুর রহমান, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে শেয়ারবাজারে পতন হচ্ছে। এই সময়ে মূল্যসূচক কমেছে সাড়ে ৩০০ পয়েন্ট। তবে গত ২ কার্যদিবসে সেই পতন বড় আকার ধারন করেছে। ওই ২ কার্যদিবসে মূল্যসূচক কমেছে ১৩০ পয়েন্ট। আর সেপ্টেম্বরের ৬৩৩ কোটি টাকার লেনদেন বর্তমানে ৪৩৫ কোটিতে নেমে এসেছে। এই পতনের কারন খুজতে আইসিবিতে স্টেকহোল্ডাররা বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে আইসিবির এমডি কাজী সানাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে শেয়ারবাজারে পতন হচ্ছে। এমন ঘটনা সারাবিশ্বেই হয়। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের স্বার্থে বন্ডে ইস্যুকৃত ২ হাজার কোটি টাকার পুরোটাই এই বাজারে বিনিয়োগ করা হবে। যদিও দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

চীনা কনসোর্টিয়ামের থেকে প্রাপ্ত অর্থ দ্রুত বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আহমেদ। যা বিনিয়োগে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর বিনিয়োগকারীদেরকে স্বল্প মেয়াদির পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করার তাগিদ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রাপ্য শেয়ার শুরুতেই বিক্রয় না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

নূর আহমেদ বলেন, সরকারি বিভিন্ন পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আইসিবির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন। তাহলে শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়বে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সীমা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য বলা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২৩, ২০১৮)