দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের বিষয়ে বুধবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেবেন। বেলা সাড়ে ৩টায় এ বিষয়ে আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অর্থের উৎসের বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য অতিরিক্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের আদেশ না দেয়ায় চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন আইনজীবীরা।

বুধবার চেম্বার আদালতে এ আবেদনের শুনানি হবে।

বিষয়টি খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যরিস্টার নওশাদ জমির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি শেষ করে।

শুনানিতে দুদক আইনজীবী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন চান।

তবে অ্যাটর্নি জেনারেল পাঁচ বছরের সাজাই বহাল চেয়েছেন। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ বুধবার দিন ধার্য করেন। তবে কোন বিষয়ে আদেশের জন্য রাখা হয়েছে তা উভয়পক্ষের আইনজীবীরা পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারেননি।

ওই দিন বেলা ১১টায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলীসহ অন্যরা আদালত থেকে বেরিয়ে যান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অর্থের উৎসের বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য অতিরিক্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চেয়ে সোমবার একটি আবেদন করেন এজে মোহাম্মদ আলী। ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট তা নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, মূল আপিলের যুক্তিতর্ক শেষে এই আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে।

মঙ্গলবার যুক্তিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই এজে মোহাম্মদ আলী ওই আবেদনের ওপর আদেশ চাইলে আদালত যুক্তিতর্ক শেষে আদেশ দেয়া হবেও বলে জানান।

এ সময় তিনি বলেন, তা হলে এই আদেশটিই (নথিভুক্ত করে রাখার আদেশ) দেন, আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাব।

বিচারক তখন বলেন, ‘সে আপনারা যেতে পারেন।’ এ ছাড়া ৩১ অক্টোবরের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির একটি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

পরে এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘তা হলে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখা হোক।’ এ পর্যায়ে আদালত তা প্রত্যাখ্যান করলে মোহাম্মদ আলী যুক্তিতর্কে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আদালত ত্যাগ করেন।

পরে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, আবদুর রেজ্জাক খান, ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, আমিনুল ইসলাম, এএইচএম কামরুজ্জামন, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মো. ফারুক হোসেন ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমানসহ অন্য আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে যান।

শুনানি শেষে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তিতর্কে দুদকের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন চেয়েছি। আইন অনুযায়ী বিচারিক আদালতের পাঁচ বছর সাজা দেয়া ঠিক হয়নি।

তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার করা আপিলসহ চারটি আবেদনের ওপর ২৮ দিন শুনানি হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ কার্যদিবসে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অতিরিক্ত সাক্ষ্য দেয়ার জন্য একটি দরখাস্ত নিয়ে এসেছিলেন।

সোমবার তাদের ওই দরখাস্ত শুনে দুপক্ষের যুক্তিতর্কের পর আদেশ দেবেন বলে আদালত নথিভুক্ত করে রাখেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২৪, ২০১৮)