অরফানেজ মামলা: অর্থের উৎস নিয়ে শুনানি ২৮ অক্টোবর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অর্থের উৎস সংক্রান্ত প্রতিবেদন শুনানি না করে তা শুধু নথিভুক্ত রাখার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সেই আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা আবেদনটি আগামী ২৮ অক্টোবর শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটির ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণের আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় অর্থের উৎসের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়ে এ বিষয়ে একটি আদেশ চান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। কিন্তু আদালত জানান, এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শেষে ওই আবেদনটির ওপর আদেশ দেওয়া হবে। তবে এরপরও প্রতিবেদনটির বিষয়ে আদেশ চান তারা। তখন আদালত আবেদনটি কিপ টু দ্যা রেকর্ড (নথিভুক্তি) রাখার আদেশ দেন।
এর পরদিন গত ২৩ অক্টোবর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানির পূর্বে ট্রাস্টের অর্থের উৎসের বিষয়ে দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর আদালতের কাছে আদেশ প্রার্থনা করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। কিন্তু আদালত আদেশ না দেওয়ায় এ বিষয়ে আপিল বিভাগে যাওয়ার হবে বলে আদালতকে জানানো হয়। সে কারণে মামলাটির মূল আপিল শুনানি একদিনের জন্য মুলতবি করতে আদালতের কাছে আরজি জানানো হয়। কিন্তু আদালত মামলাটির আপিল শুনানি মুলতবি না করায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালত বর্জন করে মামলার শুনানি না করেই বেরিয়ে আসেন।
তবে এরপর আদালতের নির্দেশে দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি উপস্থাপন করেন।
এদিকে মামলা সংক্রান্ত অর্থের উৎস সম্পর্কে খালেদা জিয়ার পক্ষে দাখিল করা আবেদনের ওপর শুনানি না নিয়ে তা শুধু নথিভুক্ত রাখায় সে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যান তার আইনজীবীরা। কিন্তু সে আবেদনটির বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ২৮ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেন চেম্বার আদালত।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি চার আসামি হলেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে ওই দিন বিকালে (৮ ফেব্রুয়ারি) নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন আছেন।
পরে রায় ঘোষণার ১১ দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি (অনুলিপি) হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এরপর থেকে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২৪, ২০১৮)