দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে নারী সাংবাদিককে অসম্মানজনক ও আপত্তিকর কথা বলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির একাধিক মামলার পর এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য সুমনা আক্তার লিলি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাদী লিলি সারাবাংলাকে জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২) ও ২৯ ধারায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি।

কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.আস সামশ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটির শুনানি হবে।

এর আগে, রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়ার দায়ের করা মানহানি মামলা আমলে নিয়ে বিচারক সোমবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই দিন রাতেই সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় উত্তরায় ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে যুক্ত হয়ে একজন নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে আপত্তিকর কথা বলেন ব্যারিস্টার মইনুল। এ নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। ব্যারিস্টার মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন নারী সাংবাদিকরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্পাদকরাও তার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন, বিবৃতি দেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার সমালোচনা করেন।

এ ঘটনায় ব্যারিস্টার মঈনুল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। তবে তিনি দাবি অনুযায়ী প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় ২১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি। এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয় মইনুলের নামে। পরে কুমিল্লা ও কুড়িগ্রামেও মামলা হয় তার নামে। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় রোববার পাঁচ মাসের এবং সোমবার কুড়িগ্রামের মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মঈনুল। তবে সোমবার রংপুরে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার হতে হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২৪, ২০১৮)