কয়লাখনি দুর্নীতি: খালেদার অভিযোগ শুনানি ২৭ নভেম্বর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৭ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু আসামি ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হকের পক্ষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী।
পুরান ঢাকার বকশী বাজারে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান আসামি পক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৭ নভেম্বর ঠিক করেন।
মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন বলে আদালতকে অবহিত করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। এদিন তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা প্রদান করেন। খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।
এই মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে জামায়াত নেতা নিজামী ও মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি নেতা এমকে আনোয়ার মারা গেছেন।
জড়িত থাকা অন্য আসামিরা হলেন-বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশারফ হোসেন।
গত ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২৫, ২০১৮)