দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সংসদ ভেঙে দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনসহ সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে রোববার (২৮ অক্টোবর) চিঠি দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

এছাড়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) একেএম নূরুল হুদাকেও তারা চিঠি দেবে।

এর আগে ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শনিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন এবং ওবায়দুল কাদেরের বাসায় চিঠি পৌঁছে দেয়ার। কিন্তু দু’জনই পটুয়াখালীতে থাকায় চিঠি দেওয়া হয়নি।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ ২১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শনিবার সেখানে সফরে যান। ওবায়দুল কাদেরসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং দলের শীর্ষ নেতারা তার সফরসঙ্গী হন।

অপরদিকে, সমাবেশ করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারাও একই দিন চট্টগ্রামে যান। এ অবস্থায় শনিবার চিঠি দিতে পারেননি ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। রোববার দুপুরের মধ্যে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

এছাড়া তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। শুক্রবার রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে চিঠির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল শনিবার দুপুরের মধ্যে ওই দু’জনের কাছে চিঠি পৌঁছে দেয়ার।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই নেতা গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ চিঠি পৌঁছে দেবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সরকারি সফরে ঢাকার বাইরে থাকায় মোস্তফা মহসিন মন্টু ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ সকালে চট্টগ্রাম চলে যান।

জানতে চাইলে মোস্তফা মহসিন মন্টু গণমাধ্যমকে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঢাকার বাইরে থাকায় চিঠি না দিয়ে তারা চট্টগ্রামে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দেন। আশা করি আজ চিঠি পৌঁছে দেব।’

এদিকে শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দেয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন নেতারা।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২৮, ২০১৮)