দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্রদের উন্নয়নে ৯০.২৫ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ)। প্রতিষ্ঠানটির ৩৫টি সহযোগী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে হতদরিদ্রদের মাঝে এ অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়। এ যাবৎ ১১২০টি সহযোগী সংস্থার মধ্যে সর্বমোট ১২৭.৬৮ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স রুমে ২২৪তম প্রশিক্ষণ, অনুদান প্রদান ও পর্যালোচনা সভা আয়োজন করে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সদর আলী বিশ্বাস, কর্মকর্তাবৃন্দ ও ৩৬টি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা।

এ সময় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, কর্মসূচি গ্রহণের পূর্বে কর্মপরিকল্পনা, ঐতিহাসিক বিষয়াবলী এবং উৎপাদিত পণ্যসমূহ ব্যবহারযোগ্য কি-না তা বিবেচনায় আনতে হবে। উৎপাদিত পণ্য ব্যবহার করার সুযোগ না থাকে সে কর্মসূচি গ্রহণ করে কোন লাভ হবে না। যদি সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও সঠিক ইন্টারভেনশন না করা হয় তাহলে ডুপ্লিকেশন বা ওভারল্যাপিং হবে ও কর্মসূচি ব্যর্থ হবে। কর্মসূচি ঘন ঘন পরিবর্তন না করে অভিজ্ঞতার আলোকে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হলে সে কর্মসূচি টেকসই হয়।

অনুষ্ঠানের এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সদর আলী বিশ্বাস বলেন, আমাদের টার্গেট থাকবে হতদরিদ্রদের উন্নয়ন ও কল্যাণ। যাদেরকে টার্গেট করা হবে, এক্ষেত্রে হতদরিদ্র, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানোর লক্ষে কাজ করতে হবে। হতদরিদ্রদের দারিদ্র্য মুক্তি ও উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা সরকারের একটি প্রধান কাজ। একাজে বিএনএফ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বিএনএফ-এর নিয়ম ও নির্দেশনা মেনে সুষ্ঠ, সুন্দরভাবে ও ছিটমহলভিত্তিকও কাজ করার পরামর্শ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীন একটি স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকারের অর্থে দেশের জাতীয় পর্যায়ে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে আঞ্চলিক ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত এনজিওসমূহের মধ্যে অনুদান প্রদান করে থাকে।

এ অনুদানের অর্থে সহযোগী সংস্থাসমূহ নলকূপ স্থাপন, গাভী ও ছাগল বিতরণ, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ও পুনর্বাসন, শীতলপাটি তৈরিতে সহায়তা, সেলাই প্রশিক্ষণ ও মেশিন বিতরণ, পাট ও চটের পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ভ্যানগাড়ি বিতরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, টার্কি পালন, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রশিক্ষণ, মানবাধিকার সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, সহজ ইংরেজি শিক্ষা, তাঁত শিল্পে সহায়তা, বাঁশ-বেতের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ বিতরণ, ক্ষুদ্র ব্যবসার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/অক্টোবর ২৯, ২০১৮)