দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।

সোমবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, এবারের পরীক্ষায় মোট ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন। এবার ২ লাখ ১ হাজার ৫১৩ পরীক্ষার্থী বেড়েছে।

নাহিদ বলেন, জেএসসিতে ২৯ হাজার ৬৭৭টি বিদ্যালয়ের মোট ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ এবং জেডিসিতে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অনিয়মিত ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৩ এবং জেডিসির ৩৪ হাজার ২৫১ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারাদেশে মোট ২ হাজার ৯০৩টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গেল বছর কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৮৩৪টি। সেই হিসাবে এবার ৬৯টি কেন্দ্র বেড়েছে। এ ছাড়াও এবার দেশের বাইরে ৯টি কেন্দ্রে ৫৭৮ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে আগেই একাধিক প্রশ্ন সেট পাঠানো হবে, তবে পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মধ্যেমে প্রশ্ন নির্বাচন করে প্রশ্নপত্রের খাম খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

নাহিদ বলেন, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। তবে অনিবার্য কারণে কোনও পরীক্ষার্থীকে এ সময়ের পরে হলে প্রবেশ করতে দিলে তার/তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ঐদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেয়া হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তাদের জন্য শ্রুতি লেখকের সুযোগ রাখা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/অক্টোবর ২৯, ২০১৮)