আল জুবায়ের, যবিপ্রবি প্রতিনিধি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ৯১৫ আসনের বিপরীতে ৪৪ হাজার ১৮১ জন আবেদন করেছেন।

গত শিক্ষাবর্ষে ৩৮ হাজার ২৩৯ জন ভর্তি পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। বিভিন্ন ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা বাড়ানোর পরও এবার আবেদনকারীর সংখ্যা ৫ হাজার ৯৪২ জন বেড়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার কমিটির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় জানানো হয়, ভর্তিচ্ছুরা আগামী ১ নভেম্বর পর থেকে তাদের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে ১০ নভেম্বর পরে ভর্তিচ্ছুরা প্রবেশপত্রে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটির সংশোধনীর সুযোগ পাবেন না।

২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে যবিপ্রবিতে ‘এ’ ইউনিটে ২৭০টি আসনের বিপরীতে ১৪ হাজার ৪২৬ জন; ‘বি’ ইউনিটে ১৮০টি আসনের বিপরীতে ১২ হাজার ৬৭ জন; ‘সি’ ইউনিটে ২৩৫টি আসনের বিপরীতে ১০ হাজার ৬৩৩ জন; ‘ডি’ ইউনিটে ৬০টি আসনের বিপরীতে ৪ হাজার ১৫৪ জন, ‘ই’ ইউনিটে ৩০টি আসনের বিপরীতে ৬১৪ জন এবং ‘এফ’ ইউনিটে ১৪০টি আসনের বিপরীতে ২ হাজার ২৮৭ জন ভর্তি পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের শেষ সময় ছিল গত ২৮ অক্টোবর রাত পর্যন্ত।

এ বছর ছয়টি ইউনিটে সাতটি অনুষদের অধীনে ২৬টি বিভাগে মোট ৯১৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। এ আসনগুলো ছাড়াও মোট আসনের মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং যবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এরমধ্যে লেদার টেকনোলজি; ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশন; মার্কেটিং এবং বাংলা বিভাগ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনাধীন আছে। ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে এ চারটি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

এর আগে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ৯:৩০-১১.০০টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিট, দুপুর ১২:৩০-২.০০ পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিট এবং বিকেল ৩:৩০-৫:০০ পর্যন্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৯:০০-১০:৩০ পর্যন্ত ‘ডি’ ইউনিট, বেলা ১১.০০-১২:৩০ পর্যন্ত ‘ই’ ইউনিট এবং ৩:৩০-৫.০০ পর্যন্ত ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

কমিটির সভায় জানানো হয়, সকল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যেমন: ক্যালকুলেটর (শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ক্যালকুলেটর আনা যাবে), মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ঘড়ি বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার ও পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নির্দেশ অমান্যকারীকে হল থেকে বহিষ্কার করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় কেউ যেন বিশৃঙ্খলা কিংবা অসাধুপায় অবলম্বন করতে না পারে এ জন্য সবকটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

ভর্তি পরীক্ষা শেষে আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ১ ডিসেম্বর। আর একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ওরিয়েন্টশন ও ক্লাস ২ জানুয়ারি, ২০১৯ খ্রি. শুরু হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএজে/এমএসআর/অক্টোবর ২৯, ২০১৮)