শেষ বলে নিউজিল্যান্ডকে হারালো পাকিস্তান
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আবুধাবিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ২ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করেছিল ১৪৮। সমান উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড থেমেছে ১৪৬ রানে।
বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাতে ৪০ ওভারের লড়াই। তবে ব্যবধান গড়ে দিল দুই ইনিংসের শেষ বল। যেখানে পাকিস্তান নিয়েছিল ৬ রান, নিউজিল্যান্ড নিতে পারল ৪।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ১৭ রান। সমীকরণটা শেষ বলে নেমে আসে ৭ রানে। ছক্কা হলেও ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে। পাকিস্তানের তরুণ পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির ফুলটস পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেননি রস টেলর। বাউন্ডারি মারতে পেরেছেন, যা যথেষ্ট হয়নি। বৃথা গেছে টেলরের ২৬ বলে ৪২ রানের ‘ক্যামিও’।
লক্ষ্য তাড়ায় নিউজিল্যান্ডের শুরুটা কিন্তু দুর্দান্তই হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটিতে ৬ ওভারেই এসেছিল ৫০ রান। সেটা অবশ্য কলিন মানরোর কল্যাণে। গ্লেন ফিলিপস ১৫ বলে ১২ রান করে হাসান আলীর বলে বোল্ড হলে ভাঙে এ জুটি।
৩৮ বলে ফিফটি করা মানরো ততক্ষণে পাকিস্তানের বোলারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান শাদাব খান। ৪২ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় মানরো করেন ৫৮ রান।
পরের তিন ওভারে নিউজিল্যান্ড হারায় আরো দুই উইকেট, রান তুলতে পারে মাত্র ১৪। ইমাদ ওয়াসিমকে ফিরতি ক্যাচ দেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (১১)। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম রান আউটে কাটা পড়েন ৬ রানে।
তাতে একটা সময় ১ উইকেটে ৭৯ থেকে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৮৯! শেষ পাঁচ ওভারে দরকার পড়ে ৫৩ রান। দলে ফেরা কোরি অ্যান্ডারসন (৯) শেষের দাবি মেটাতে পারেননি। টেলর তবুও আশা হয়ে টিকে ছিলেন, কিন্তু দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেননি।
৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার হাসান। ইমাদ ও শাদাবের ঝুলিতে জমা পড়ে একটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল বাজে। দুই ওপেনার বাবর আজম ও সাহিবজাদা ফারহান ফেরেন ১০ রানের মধ্যেই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে দুর্দান্ত খেলে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান হওয়া বাবরকে (৭) ফিরিয়ে শুরুটা করেছিলেন অ্যাডাম মিলনে। অভিষিক্ত এজাজ প্যাটেলের শিকার ফারহান (১)।
এরপর আসিফ আলী, মোহাম্মদ হাফিজ ও সরফরাজ আহমেদের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় পাকিস্তান। ৩৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন হাফিজ। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনিই। সরফরাজ ৩৪ ও আসিফ করেন ২৪।
টিম সাউদির করা ইনিংসের শেষ দুই বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১০ রান নিয়েছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। তার এই ১০ রান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেটা বোঝা গেল ম্যাচ শেষে!
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান জিতল টানা সাত ম্যাচ। সরফরাজের দল তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ তে। শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচ হবে দুবার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০১, ২০১৮)