দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : চাকাভা ফিরতেই পথ হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিচ্ছেন একের পর এক ব্যাটসম্যান। সবশেষ সাজঘরের পথ ধরলেন ব্রেন্ডন মাভুতা। এবার প্রতিপক্ষ শিবিরে ছোবল মারলেন নাজমুল ইসলাম অপু। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তাকে ফেরালেন তিনি।

শেষ খবর পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২৭৪ রান করেছে সফরকারীরা। এখনও পথের কাঁটা হয়ে রয়েছেন মুর। ইতিমধ্যে ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট ফিফটি (৫৯) তুলে নিয়েছেন তিনি। এখন দেখার বিষয় তাকে ফিরিয়ে কত দ্রুত রোডেশিয়ানদের অলআউট করতে পারে বাংলাদেশ।

আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। পিটার মুর ৩৭ ও রেজিস চাকাভা ২০ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। যত দ্রুত সম্ভব সফরকারীদের গুটিয়ে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। চেষ্টাও চালান টাইগাররা। কিন্তু সাফল্য আসছিল না। তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান মুর ও চাকাভা। ছন্দময় ব্যাটিং করেন তারা। বুক চিতিয়ে লড়তে থাকেন।

তবে হঠাৎই ছন্দপতন। খেই হারান চাকাভা (২৮)। শর্ট লেগে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ২৬১ রানে তার বিদায়ে ভাঙে ৬০ রানের জুটি। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও স্বাগতিকদের প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল ইসলাম।

দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় সাফল্য আসতেও সময় লাগেনি। আবারো শিকারী তাইজুল। খানিক পরই ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি করে ফেরান তিনি।

সিলেট টেস্টের প্রথম দিন দেখা গেছে ব্যাট-বলের দারুণ লড়াই। শন উইলিয়ামস (৮৮) ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজার (৫২) ফিফটিতে আড়াইশ রানের কাছে গিয়ে পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে।

অন্যদিকে প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলাম শিকার করেন ২ উইকেট। ফলে দিন শেষে দুই দল প্রায় সমানে-সমান থাকে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৪, ২০১৮)