রাজশাহীতে ঐক্যফ্রন্টের মহাসমাবেশ ৯ নভেম্বর

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগামী ৯ নভেম্বর মহাসমাবেশ করবে।
রবিবার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় স্টিয়ারিং কমিটির জরুরি এক প্রতিনিধি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, যে কোনো মূল্যে আগামী ৯ নভেম্বর রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের লাখো মানুষের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে বাধা দেওয়া হলে রাজশাহীসহ সারা দেশে কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে ২ নভেম্বর রাজশাহীর মহাসমাবেশ করার ঘোষণা থাকলেও একই স্থানে তাবলিগ জামায়াতের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ায় মহাসমাবেশের দিন পরিবর্তন করে ৬ নভেম্বর করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় তারিখ বদল করে ৯ নভেম্বর করা হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্ট ৯ নভেম্বর পর্যন্ত মহাসমাবেশের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করবে। পাশাপাশি অনান্য কর্মসূচিও যুগপদভাবে চলতে থাকবে।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা মেনে নেওয়ার আগে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশন ঘেরাও এর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। একই সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমে ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি আদায় করা হবে।
সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ঐক্যফ্রন্ট রাজশাহীর মহাসমাবেশের জন্য দুই সপ্তাহ আগে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কাছে মাঠ ব্যবহারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে ঐক্যফ্রন্টকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। ফলে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের বিকল্প তিনটি ভেন্যুতে মহাসমাবেশের জন্য ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐক্যফ্রন্টের মহাসমাবেশের জন্য ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে অনুমতি না পাওয়া গেলে মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন ভুবন মোহন পার্কে সমাবেশ করা হবে।
সমাবেশ সফল করার জন্য রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটকে সকল প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মহাসমাবেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলেও জানানো হয়।
ঐক্যফ্রন্টের জরুরি এ সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঐক্যফ্রন্ট স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হারুনুর রশীদ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল মুনীর, বর্তমান সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপুসহ ঐক্যফ্রন্টের শরীক দলগুলির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/নভেম্বর ০৪, ২০১৮)