বগুড়া-মেহেরপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
মেহেরপুর ও বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার পুলিশের সঙ্গে তথাকথি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জেএমবির বাংলাদেশ শাখার আমির খোরশেদ আলম ওরফে মাস্টার ওরফে সামিল (৩৮) এবং মেহেরপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এনামুল হক এনা (৪২) নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে এ দুটি প্রথক ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটা ঘটে।
মেহেরপুর : মেহেরপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এনামুল হক এনা (৪২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ডিবির তিন সদস্য। ডিবির দাবি, এনা মাদকবিক্রেতা ছিলেন।
সোমবার (৫ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও ৬৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে।
নিহত এনামুল হক সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মৃত তোয়াজ আলীর ছেলে। আহত তিন ডিবি সদস্য হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম, কনস্টেবল সোহাগ মিয়া ও মাসুদ হাসান। তার নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ আটটি মামলা রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান, মেহেরপুর-কাথুলী সড়কের কুলবাড়িয়া গ্রামের বটতলায় কয়েকজন মাদক কারবারি অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ ও মাদক কারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলি শুরু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা মরদেহটি সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের রুস্তম ডাকাতের ভাইয়ের বলে চিহ্নিত করে। পরে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া: বগুড়ার পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জেএমবির বাংলাদেশ শাখার আমির খোরশেদ আলম ওরফে মাস্টার ওরফে সামিল (৩৮) নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান ও কনস্টেবল সাব্বির আহত হন। তাদের উদ্ধার করে জেলা পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (৫ নভেম্বর) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা।
খোরশেদ জামালপুরের সরিষাবাড়ীর বোনারপাড়ার আব্দুল খালেকের ছেলে।
সনাতন চক্রবর্তী জানান, সোমবার দিনগত রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার পিরবের ভাতিপুকুর এলাকায় টহল পুলিশের ওপর একদল দুষ্কৃতিকারী হামলা চালালে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়।
এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এক যুবককে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু পথিমধ্যে রক্তক্ষরণে কারণে তার মৃত্যু হয় বলে শজিমেকের জরুরি বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, ওয়ান শুটার গান, তিন রাউন্ড গুলি, বার্মিজ চাকু, চাপাতি, কিছু পাউরুটি ও কলার অংশ জব্ধ করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৬, ২০১৮)