দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পেছনে ইসরায়েলের হাত ছিল বলে সন্দেহ করছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এক তদন্ত কমিটি।

ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান বলেছেন, বার্ধক্য বা ভগ্ন স্বাস্থ্যের জন্য যে তার মৃত্যু হয়নি এটা পরিস্কার।

এর আগে সুইজারল্যান্ডের এক তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিলো যে, কবর থেকে তোলার পর আরাফাতের দেহে স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি তেজষ্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

তবে ইসরায়েল এ ব্যাপারে তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

ফিলিস্তিনি যে কমিটি ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে, তারা বলেছে, ২০০৪ সালের ওই ঘটনা নিয়ে আরো অনুসন্ধান চালানো হবে যাতে পূর্ণ সত্য উদঘাটন করা যায়।

রামাল্লায় কমিটির প্রধান তওফিক তিরারি এক সংবাদ সম্মেলনে এই মৃত্যুকে ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করে বলেন, সত্য উদঘাটন করার জন্য তারা তদন্ত চালিয়ে যাবেন।

তদন্ত করলে এর সঙ্গে ইসরায়েলের জড়িত থাকার ব্যাপারটি প্রমাণ হবে বলেই মনে করছেন তওফিক তিরাবি। তিনি বলেন, ‘আরাফাতকে হত্যার জন্য পোলোনিয়াম না অন্য কিছু ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তার কারণেই ইয়াসির আরাফাত মারা গেছেন কি-না, নাকি অন্য কোন কারণে তার মৃত্যু হয়েছে- তা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সিকিউরিটি এবং মেডিক্যাল কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে আমার কাছে যে তথ্য আছে তার ভিত্তিতে বলছি, ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করা হয়েছে এবং ইসরায়েলই তাকে হত্যা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ কথা বানিয়ে বলছি না। এটা এরিয়েল শ্যারন আর শাওল মোফাজের মতো ইসরায়েলি নেতাদের টেলিফোন আলাপেও শোনা গেছে- তারা সেসময় বলেছে যে আরাফাতকে যেতে হবে। এগুলো আমার কথা নয়। আমি আবার বলছি আরাফাতের রক্তের জন্য ইসরায়েলই দায়ী।’

এদিকে আরাফাতের স্ত্রী সুহা আরাফাত বলেছেন, তিনি সরাসরি কাউকে অভিযুক্ত করতে চান না, কারণ পৃথিবীতে তার অনেক শত্রু রয়েছে। সূত্র: বিবিসি।

(দিরিপোর্ট/কেএন/জেএম/নভেম্বর ০৯, ২০১৩)