বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কেপিসিএলর লেনদেন স্থগিত
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা ভেবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)।
বুধবার (৭ নভেম্বর) ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর ৯ ধারার ৭ উপধারা ও ডিএসই লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ৫০ (১) অনুযায়ি, খুলনা পাওয়ারের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে ৪ নভেম্বর খুলনা পাওয়ারের ১ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৫টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয় কোম্পানিটির করপোরেট উদ্যোক্তা সামিট করপোরেশন। অথচ কোম্পানিটির ২০১৭-১৮ অর্থবছরের লভ্যাংশ সংক্রান্ত বিষয়ে আগামি ২২ নভেম্বর রেকর্ড ডেট রয়েছে। এমতাবস্থায় রেকর্ড ডেটের আগে শেয়ার বিক্রি করলে লভ্যাংশ পাওয়া যাবে না।
এদিকে খুলনা পাওয়ারের বিক্রির ঘোষণার খবরের দিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমে যায় ১১১.৯০ টাকা থেকে ১০২.৪০ টাকায়। যা পরের দিন (০৫ নভেম্বর) ৯২.৪০ টাকায় নেমে আসে। তবে ৬ নভেম্বর বেড়ে দাড়াঁয় ৯৮.৪০ টাকায়।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন সাংবাদিকদের জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থা যাচ্ছে। যা কাটিয়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই চেষ্টা করছে। সেই মুহূর্তে খুলনা পাওয়ারের প্রায় ২ কোটি শেয়ার বিক্রি বাজারের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনবে। যে বিক্রির চাপ শেয়ারবাজার এই মুহূর্তে নিতে পারবে না। তাই সার্বিক বাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা ভেবে খুলনা পাওয়ারের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৪ তারিখে বিক্রির ঘোষণা দিলেও মাঝের সময়টুকু সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে তারা ব্লকে শেয়ারগুলো বিক্রয় করে। কিন্তু তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই বুধবার খুলনা পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে বাজারের বর্তমান অবস্থায় খুলনা পাওয়ারের প্রায় ২ কোটি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা ডিএসই ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) এক বৈঠক ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বৈঠক শেষে রকিবুর রহমান বলেন, উদ্যোক্তা/পরিচালকেরা ২০০৯-১০ সালে শেয়ার বিক্রি করে বাজারের ক্ষতি করেছে। তারা এখনো বিক্রি করছে। যে কারনে সাধারন বিনিয়োগকারীরা যে শেয়ারই কিনছে, সেটাতেই লোকসান হচ্ছে। এমন হলে শেয়ারবাজারে থাকা মুশকিল হবে।
তিনি বলেন, কোন উদ্যোক্তা/পরিচালকের শেয়ার বিক্রির ১ মাস আগে ঘোষণা দেওয়া উচিত। যাতে বিনিয়োগকারীরা ওই কোম্পানিতে থাকবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। একইসঙ্গে তাদের শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রয় করা উচিত। এক্ষেত্রে তাদেরকেই বিনিয়োগকারী খুজে বের করতে হবে। তাহলে নিয়মিত বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ০৭, ২০১৮)