মুশফিকের দেড়শ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : নির্ভরতার অপর নাম মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও সেই পরিচয় দিচ্ছেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মধ্যেও বুক চিতিয়ে লড়ছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ইতিমধ্যে দেড় শতাধিক রান করে ফেলেছেন তিনি।
এ নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বারের মতো দেড় শতাধিক রান করলেন মুশি। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে ১৫৯ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন তিনি।
শেষ খবর পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৪০২ রান করেছে বাংলাদেশ। এখনও ভরসা হয়ে রয়েছেন মুশফিক। মিস্টার পার্টনার ১৫২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। ১৫ রান নিয়ে তার নতুন সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ৩০৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১১১ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শূন্য রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। প্রথম ইনিংসে চারশ, সাড়ে চারশ ছাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন তারা। তাদের অসাধারণ নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গতিতে সেই পথে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে উঠে তাদের মধ্যে। কোনো উইকেট না দিয়ে প্রথম সেশনে ৬২ রান যোগ করেন তারা।
উইকেটশূন্য সেশনে বড় একটা ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন দারুণ বোলিং করা টেন্ডাই চাতারা। টানা পঞ্চম ওভার করছিলেন তিনি। কিন্তু ওভার শেষ করতে পারেননি। তৃতীয় বল করার পর বাম পায়ের পেশিতে টান পান। স্ট্রেচারে দ্রুত মাঠের বাইরে নেয়া হয়। ম্যাচে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। ওভারের বাকি চার বল করেন ডোনাল্ড তিরিপানো।
সাবলীল ব্যাটিংয়ে নির্বিঘ্নে কঠিনতম সেশনটা কাটিয়ে দেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর হঠাৎই কক্ষচ্যুত হন মাহমুদউল্লাহ। কাইল জার্ভিসের বলে রেজিস চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক (৩৬)।
এর আগে মিস্টার পার্টনারের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। খানিক বাদেই তার পথ অনুসরণ করেন আরিফুল হক। ফের শিকারী কাইল জার্ভিস। তার বলে ব্রায়ান চারির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গেল টেস্টে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার। তাকে শিকার বানানোর বদৌলতে ক্রিকেটের অভিজাত সংষ্করণে তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট ঝুলিতে ভরেন জার্ভিস।
রোরবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নেয় স্বাগতিকরা। শুরুতে এখানেও সিলেট টেস্টের ভূত ভর করে টাইগার ব্যাটসম্যানদের কাঁধে। দলীয় ২৬ রানের মধ্যে ফিরে যান ইমরুল কায়েস, লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিথুন।
সেখান থেকে মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের প্রতিরোধ। পরের গল্পটা শুধুই তাদের। একের পর এক মাইলফলক, রেকর্ড, কীর্তি। দুঃসময়ের জাল ছিন্ন করে দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে দলকে এনে দেন সোনাঝরা এক দিন। ২৬৬ রানের রেকর্ডভাঙা জুটিতে দলকে পথ দেখান তারা।
শেষ বিকালে আক্ষেপ হয়ে থাকে মুমিনুল ও তাইজুলের উইকেট। তারা না ফিরলে দিনটি আরও উৎসবমুখর হতে পারত। ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি (১৬১) তুলে ফিরে যান মুমিনুল। ৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রাখেন মুশফিক।
জিম্বাবুয়ের হয়ে কাইল জার্ভিস নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন টেন্ডাই চাতারা ও ডোনাল্ড তিরিপানো।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ১২, ২০১৮)