দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : শুরুটা হয়েছিল ধামাকা দিয়ে। প্রথম দিন বক্স অফিসে ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল ‘ঠগস অব হিন্দোস্তান’। যা সর্বকালীন রেকর্ড। কিন্তু তার পর কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিল এই ছবির লক্ষ্মীলাভের গতি।

মুক্তির পর প্রথম রবিবার ১৬ কোটি টাকার ব্যবসা করল আমিরের এই ছবি। গত শুক্র এবং শনিবার এই ছবির আয় ছিল ১৮ এবং ২২ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত ১১৭.৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি ব্যবসা করেছে ছবিটি। যা প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু কেন এই পতন?

এই প্রথমবার একসঙ্গে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন এবং আমির খান। গল্প, চিত্রনাট্য, গ্রাফিক্স— সিনেমার সব ক’টি বিভাগেই এ ছবির দর্শকদের নতুন কিছু উপহার দিল, এমন প্রত্যাশাই ছিল। কিন্তু তা পূরণ হল কি?

সিনে বিশেষজ্ঞ তরণ আদর্শ টুইট করেছেন, ‘মোটামুটি ভাবে বলা যায়, ঠগস অব হিন্দোস্তান প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। উইকেন্ডের ফলাফলেই বোঝা যাচ্ছে, বিরাট প্রত্যাশানিয়ে মুক্তি পেলেও তাপূরণ করতে পারেনি এই ছবি। যদিও প্রথম দিন একটা নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু এর পর মানুষের মুখে মুখে যে নেগেটিভ রিভিউ ছড়িয়েছে তাতেই এই রেজাল্ট।’
বেশিরভাগ দর্শক ছবিটি দেখে নাকি হতাশ হয়েছেন। কারও মনে হয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে আমির খানের সবচেয়ে দুর্বল ছবি। আবার কেউ বলছেন, ট্রেলার দেখেই বোঝা গিয়েছিল ছবিটি একেবারেই ভাল হবে না। রিলিজের পর তারই প্রমাণ পাওয়া গেল।
আদিত্য চোপড়া প্রযোজিত বহু প্রতীক্ষিত এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিজয়কৃষ্ণ আচার্য।ইংরেজ ভারতে এসেছিল ব্যবসা করতে। কিন্তু সেই ফাঁকে রাজত্ব শুরু করেছিল। যা চলেছিল পরবর্তী ২০০ বছর। ইংরেজ রাজত্ব মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। গল্প অনুযায়ী,তেমনই একজন আজাদ। এই ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। আর তাঁকে শায়েস্তা করতেই ফিরাঙ্গি মল্লাহকে নিয়ে আসে ইংরেজরা। ফিরাঙ্গির চরিত্রে রয়েছেন আমির খান।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ১৩,২০১৮)