দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : শুরুটা ধীরস্থির করেছিলেন ব্রায়ান চারি। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে হাত খুলেছিলেন। রীতিমতো বাংলাদেশ বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন তিনি। ছোটাচ্ছিলেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। ফিফটি (৫৩) তুলে চোখ রাঙাচ্ছিলেন। অবশেষে তার চোখ রাঙানি থামালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মুমিনুল হকের তালুবন্দি করে জিম্বাবুয়ে ওপেনারকে ফেরালেন তিনি।

অবশ্য মিরাজের আবেদনে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তাতে এ অফস্পিনারের আবেদন পজিটিভ প্রমাণ হলে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। দ্বিতীয় সেশন শেষে ৩ উইকেটে ১০০ রান করেছে সফরকারীরা। ১৯ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন ব্রেন্ডন টেইলর। ১ রান নিয়ে তার নতুন সঙ্গী ইনফর্ম শন উইলিয়ামস। এখন চলছে লাঞ্চ বিরতি।

আগের দিনের ১ উইকেটে ২৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন খেলতে নামে জিম্বাবুয়ে। ব্রায়ান চারি ১০ এবং নাইটওয়াচম্যান ডোনাল্ড তিরিপানো শূন্য রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। রান তোলাই ছিল তাদের লক্ষ্য। অন্যদিকে প্রতিপক্ষকে দ্রুত গুঁড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকে চেষ্টা করছিলেন বোলাররা। তবে সাফল্য আসছিল না। অবশেষে তাদের প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখে। তাইজুল ইসলামের স্পিনে ঘায়েল হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডোনাল্ড তিরিপানো।

এর আগে বাংলাদেশের দেয়া ৫২২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় সফরকারীরা। দলীয় ২০ তাইজুল ইসলামের বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা।

প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিমের রেকর্ড ডাবল সেঞ্চুরি (২১৯), মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি (১৬১) এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে (৬৮) রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ৫২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৫ উইকেট নেন কাইল জার্ভিস।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ১৩, ২০১৮)