দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রথম ইনিংস যখন অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে, তখন নতুন করে দলকে ম্যাচে ফেরালেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলর। সঙ্গী হিসেবে পেয়ে গেলেন পিটার মুরকে।

বাংলাদেশি বোলারদের বেশ ভালোভাবেই সামলে এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হাঁকালেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ১৮৭ বলে তিন অংক স্পর্শ করতে টেইলর হাঁকালেন ৮টি বাউন্ডারি। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৮৪ রান। ফলোঅন এড়াতে তাদের ৩২৩ রান করতে হবে।

মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এই উইকেটটাও তাইজুলের। তার বলে সেই মেহেদী মিরাজের তালুবন্দি হলেন ত্রিপানো (৮)। ৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হলো সফরকারীদের। এরপর ব্রেন্ডন টেইলরের সঙ্গে জুটি গড়ার পাশাপাশি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেনে ওপেনার ব্রায়ান চারি।

লাঞ্চের আগমুহূর্তে চারিকে (৫৩) মুমিনুল হকের তালুবন্দি করে ৫৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাইজুলের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস (১১)। ১২৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বিপজ্জনক অল-রাউন্ডার সিকান্দার রাজাও (০) বোল্ড হয়েছেন তাইজুলের বলে। ১৩১ রানে অর্ধেক ইনিংস শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের।

এরপর পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন ব্রেন্ডন টেইলর এবং পিটার মুর। ৬ষ্ট উইকেটে দুজনে মিলে ১৩৯ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন। ১১৪ বলে ৮৩ রান করা পিটার মুর আরিফুল হকের বলে এলবিডাব্লিউ হলে ভাঙে এই জুটি। রিভিউ নিয়েও সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।

এর আগে সোমবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে ৭ উইকেটে ৫২২ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। মুমিনুল ইসলাম খেলেন ১৬১ রানের ইনিংস। আর মুশফিকুর রহিম ১৬ টি বাউন্ডারিতে খেলেন অপরাজিত ২১৯* রানের ব্যক্তিগত এবং বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া মেহেদী মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৬৮* রানে। শেষ সেশনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আরিফুল হকের কল্যাণে একবার জীবন পাওয়া অধিনায়ক মাসাকাদজাকে (১৪) হারায় জিম্বাবুয়ে। তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠন তাইজুল ইসলাম।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/নভেম্বর ১৩, ২০১৮)