দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটে নেমেছে বাংলাদেশ।

কিন্তু শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় মাহমুদুল্লাহর দল। সিলেট টেস্টের পরে ঢাকা টেস্টেও ব্যর্থ হন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। ভরসা দিতে পারেননি আগের ইনিংসে দারুণ খেলা মুমিনুল-মুশফিক। শুরুর ২৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুকছে বাংলাদেশ। পরে মাহমুদুল্লাহ ও মিঠুন দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। সর্বশেষ খবর পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান তুলেছে বাংলাদেশ। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১২।

দলের হয়ে ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৩ রান। এ নিয়ে চার ইনিংসে ১০ রানের কোটা পেরোতে পারেননি তিনি। তার আউটের পরে ফিরে যান লিটনও। সিলেটের পর ঢাকা টেস্টেও পুরোপুরি ব্যর্থ তিনি। তাদের আউটের পর ক্রিজে ছিলেন মুমিনুল ও মুশফিক। কিন্তু প্রথম ইনিংসের মতো জুটি তো দুরে থাক উইকেটে দাঁড়াতেই পারেননি কেউ। মুমিনুল ১ ও মুশফিক ৭ রানে আউট হন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ৪৪ রানে ও মাহমুদুল্লাহ ২৭ রানে ব্যাট করছেন।

এর আগে জিম্বাবুয়ে তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩০৪ রান তোলে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সেঞ্চুরি করেন টেইলর। এছাড়া পিটার মুর করেন ৮৩ রান। চাতারা ইনজুরির কারণে ব্যাটে নামতে না পারায় ওই রানে থামে তাদের ইনিংস। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৭ উইকেটে ৫২২ রান। ফলোঅন এড়াতে হলে জিম্বাবুয়েকে করতে হতো ৩২২ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২১৮ রানে এগিয়ে ছিল।

বাংলাদেশের হয়ে মুশফিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পান। অপরাজিত থাকেন ২১৯ রানে। এছাড়া মুমিনুল করেন সেঞ্চুরি। মেহেদি মিরাজ পান ফিফটি। বাংলাদেশের হয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। টেস্টে এটি তার পরপর তিন ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। এছাড়া মেহেদি মিরাজ নেন ৩টি ও আরিফুল হক টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম উইকেট পান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/নভেম্বর ১৪, ২০১৮)