দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের সামনে ৪৪৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের লিড পায়। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মিঠুনের ফিফটি এবং মাহমুদুল্লাহ সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।

এর আগে টেস্টের চতুর্থ দিনে জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন না করিয়ে ব্যাটে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় মাহমুদুল্লাহর দল। সিলেট টেস্টের পরে ঢাকা টেস্টেও ব্যর্থ হন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। ভরসা দিতে পারেননি আগের ইনিংসে দারুণ খেলা মুমিনুল-মুশফিক। শুরুর ২৫ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।সেখান থেকে টেস্টে অভিষেক হওয়া মোহাম্মদ মিঠুন ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে চাপ সামাল দেয় বাংলাদেশ। তারা ১১৮ রানের জুটি গড়েন।

তার আগে দলের হয়ে ইমরুল কায়েস দ্বিতীয় ইনিংসে করেন মোটে ৩ রান। এ নিয়ে টেস্টে চার ইনিংসে ১০ রানের কোটা পেরোতে পারেননি তিনি। তার আউটের পরে ফিরে যান লিটনও। সিলেটের পর ঢাকা টেস্টেও পুরোপুরি ব্যর্থ তিনি। এরপর মুমিনুল ১ ও মুশফিক ৭ রানে আউট হন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ৬৭ রান করে ফেরেন। মাহমুদুল্লাহ ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। মেহেদি মিরাজ খেলেন ২৭ রানের হার না মানা ইনিংস।

এর আগে জিম্বাবুয়ে তৃতীয় দিন শেষে ৯ উইকেটে ৩০৪ রান তোলে। জিম্বাবুয়ের হয়ে সেঞ্চুরি করেন টেইলর। এছাড়া পিটার মুর করেন ৮৩ রান। চাতারা ইনজুরির কারণে ব্যাটে নামতে না পারায় ওই রানে থামে তাদের ইনিংস। বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে করে ৭ উইকেটে ৫২২ রান। ফলোঅন এড়াতে হলে জিম্বাবুয়েকে করতে হতো ৩২২ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২১৮ রানে এগিয়ে ছিল।

বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে মুশফিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি পান। অপরাজিত থাকেন ২১৯ রানে। এছাড়া মুমিনুল করেন সেঞ্চুরি।মেহেদি মিরাজ পান ফিফটি। বাংলাদেশের হয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে ৫ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। টেস্টে এটি তার পরপর তিন ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। এছাড়া মেহেদি মিরাজ নেন ৩টি ও আরিফুল হক টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম উইকেট পান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/নভেম্বর ১৪, ২০১৮)