দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণভবনে দলীয় প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রার্থীর সাক্ষাৎকারের আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন সরকার প্রধান। অথচ এরকম একটি রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ও সরকারি অর্থায়নে সম্পূর্ণরূপে নিয়মবহির্ভূত দলীয় কার্যক্রমের বিষয়ে নিশ্চুপ নির্বাচন কমিশন। এখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার টু-শব্দটিও করেন না। গণভবনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নির্বাচনী আচরণবিধির ১৪ (২) ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর অস্ত্র জমা দেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বিগত দশ বছরে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের হাতে প্রচুর পরিমাণ বৈধ-অবৈধ অস্ত্র দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্র জমাদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি হলেও নির্বাচন কমিশন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে। এতে প্রমাণিত হয় নির্বাচন কমিশন বিশেষ দলের পক্ষেই নির্বাচনী মাঠ সমতল করছে।

তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সহিংসতা ও নাশকতা করা হয়েছে। প্রথমেই পুলিশ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মিছিলে গাড়ি উঠিয়ে দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত করে। এই গাড়িচাপায় অন্তত ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ কীভাবে জনগণের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয় সেটি নির্বাচন কমিশনের নিকট জানতে চাই।'

বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট জোটের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন জিজ্ঞাসার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রিজভী বলেন, 'জনগণ এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চায়। তারপর বিএনপির প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা তারাই নির্ধারণ করবেন। গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াই এদেশের জনগণের প্রধানমন্ত্রী হবেন।'

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ১৫,২০১৮)