নাক ডাকা সমস্যাকে অবহেলা নয়
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে অল্প বিস্তর নাক ডাকা তেমন ক্ষতিকারক নয়। তবে বিকট শব্দে নাক ডাকা এবং বাচ্চাদের নাক ডাকা সবসময়ই কোনো রোগের কারণে হয়ে থাকে। ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসা এবং শ্বাস নেওয়ার জন্য হাঁসফাঁস করা সবচেয়ে খারাপ ধরনের নাক ডাকা।
কেন ও কোথায় হয় : শ্বাসের রাস্তায় বাতাস প্রবেশে বাধা পাওয়ায় এ সমস্যা হয়। নাক, তালু বা মুখ গহ্বর নাক ডাকার উৎপত্তিস্থল। নাকের হাড় বাঁকা, সাইনাসে প্রদাহ, মোটা মানুষের গলায় অতিরিক্ত মেদ জমা নাক ডাকার প্রধান কারণ। শিশুদের এডিনয়েড বা টনসিল বড় হয়ে গেলে এবং গলায় ঘনঘন ইনফেকশন হলে শিশু নাক ডাকতে পারে।
উপসর্গ : এ সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের বুদ্ধিমত্তার ক্রমশ অবনতি, অমনযোগিতা, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন, মাথাব্যথা, সকালে মাথা ভার হয়ে থাকা, দিনের বেলা ঘুমঘুম ভাব, শিশুদের ঘনঘন প্রস্রাব করা নাক ডাকার কারণে হয়ে থাকে।
জটিলতা : এ রোগীদের জীবনের ওপর ঝুঁকি হতে পারে- কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, হার্ট ফেইলর ও শিশুদের কট ডেথ হয়।
করণীয় : মেদবহুল শরীর হলে ওজন কমানো দরকার, ধূমপান ও মদ পানের অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে। ঘুমের ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুদের টনসিল ও এডিনয়েড অপারেশন করা। নাকের হাড় বাঁকার যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন। কোনো অবস্থাতেই এ সমস্যাকে হেলাফেলা করবেন না।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ১৮, ২০১৮)