দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী জুট মিলসের একজন পরিচালক হিসেবে ঋণখেলাপি। সুদ মওকুফের পর সোনালী ব্যাংক থেকে আ স ম ফিরোজের ২৭ কোটি টাকা ঋণ পুনঃ তফসিলের সবশেষ সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন।

ফলে ঋণখেলাপি হওয়ায় আ স ম ফিরোজ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী মো. মঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আইনে আছে তিনবারের বেশি ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে না। আ স ম ফিরোজের ক্ষেত্রে আইনের তোয়াক্কা না করে ২০১৮ সালে নবমবারের মতো তার প্রায় ২৭ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। এ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।

আইনজীবী মাইনুল ইসলাম বলেন, ঋণ পুনঃতফসিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট স্থগিত করায় আ স ম ফিরোজ এখন ঋণখেলাপি। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক হাইকোর্টে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও এম মাইনুল ইসলাম।

দশম জাতীয় সংসদে সরকারি দলের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ৷

ফিরোজ ১ম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৭৯ সালে। সাধারণ নির্বাচনে রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসাবে। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তিনি পুনরায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য হন কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/নভেম্বর ২২, ২০১৮)