দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্টনের হোটেল থেকে নিখোঁজ হওয়া যশোরের বিএনপি নেতা আবু বকর আবুর লাশ মিলেছে বুড়িগঙ্গা নদীতে। মঙ্গলবার বিকেলে নদীর তেলঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের ভাতিজা হুমায়ূন কবির সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মরদেহটি তার চাচার বলে শনাক্ত করেন।

পুলিশ অবশ্য বলছে, লাশটি পচা-গলা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাই ডিএনএ টেস্ট ছাড়া পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

নিহত আবু বকর আবু যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি শাহ জামান জানান, লাশের পরনে স্যান্ডো গেঞ্জি ও পাজামা ছিল। লাশ অনেকটায় পচে গিয়েছিল। পরে তার ভাতিজা লাশটি আবু বকর আবুর বলে দাবি করেছেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর আবু গত ১২ নভেম্বর ঢাকায় আসেন। গত সোমবার সাক্ষাৎকার বোর্ডে অংশ নেওয়ার জন্য পল্টন এলাকার মেট্রোপলিটন হোটেলের চতুর্থ তলায় ৪১৩ নম্বর রুমে অবস্থান করছিলেন তিনি। ১৮ নভেম্বর রাত ৮টার পর তাকে আর পাওয়া যায়নি। রাত ১০টার দিকে একটি মোবাইল ফোন থেকে কেশবপুরে তার এক ভাগ্নের কাছে কল করে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সোমবার সকালে অপহরণকারীরে দেওয়া বিভিন্ন নম্বরে দেড় লাখ টাকা বিকাশ করা হয়। পরে তাদের চাহিদা অনুযায়ী আরও ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর থেকে অপহরণকারীদের সব মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাকায় অবস্থানরত আবু বকরের ভাতিজা হুমায়ূন কবির জানান, তার চাচা নিখোঁজের ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। এরপর পুলিশ হোটেলে গিয়ে সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে।

তবে এখনও এ ব্যাপারে থানায় কোনো জিডি বা মামলা রেকর্ড হয়নি বলে জানিয়েছেন তার আরেক ভাগ্নে আশিকুর রহমান।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/নভেম্বর ২২,২০১৮)