ব্যাটিং ব্যর্থতায় দিন শেষ বাংলাদেশের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৮ রানের লিড নেওয়ার সুযোগ শেষ বিকেলে খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ।
একের পর এক টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা মাঠ ছেড়েছেন একটু পরপর। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলার পর এখন উল্টো তারাই অস্বস্তিতে। ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৫ উইকেট হাতে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা এগিয়ে ১৩৩ রানে।
প্রথম ওভারে বেশ মেরে খেলেছিলেন সৌম্য সরকার। আগের ইনিংসে রানের খাতা না খুলতে পারার ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠেন তিনি দুটি বাউন্ডারি মেরে। বাংলাদেশ শুরুর ওভারে ১১ রান করে। এরপরই এলোমেলো হয় তাদের ব্যাটিং লাইনআপ।
পরপর দুই ওভারে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য ফিরে যান। মাত্র ২ রান করে জোমেল ওয়ারিকানের কাছে বোল্ড হন কায়েস। পরের ওভারে রোস্টন চেজের বলে এলবিডাব্লিউ হন সৌম্য, ১০ বলে ১১ রান করে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ওই ওভারেই রিভিউ নিয়ে আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করেন মোহাম্মদ মিঠুন।
তার সঙ্গে মুমিনুল হক শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু চেজের কাছে এলবিডাব্লিউ হন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান। ১২ রান করে আউট হন মুমিনুল, খেলেন ১১ বল। পরের ওভারে সাকিব আল হাসান স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের ক্যাচ হন। মাত্র ১ রানে তিনি মাঠ ছাড়েন ওয়ারিকানের বলে।
মিডউইকেটে ক্যাচ হলেন সাকিব দিন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে মিঠুন ১৭ রানে বোল্ড হন দেবেন্দ্র বিশুর কাছে। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুশফিক ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন, আর মেহেদী হাসান মিরাজ ৯ বল খেলে রানের খাতা খোলেননি। চেজ ও ওয়ারিকান ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ৩১৫ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করে। মাত্র ৯ রান যোগ করে শেষ দুটি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
৩২৪ রানের জবাবে প্রথম ইনিংস খেলতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ লাঞ্চের আগেই হারায় ৩ উইকেট। ২৯ রানে তাইজুল ইসলামের কাছে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। এরপর সাকিব জোড়া আঘাত হানেন। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানরা ঘুরে দাঁড়ায় সুনীল আমব্রিস ও চেজের জুটিতে।
তাদের ৪৬ রানের জুটি ভেঙে প্রথম উইকেট নেন নাঈম হাসান। বাংলাদেশি স্পিনার ৩১ রানে চেজকে ফেরান। পরের ওভারে আমব্রিসও ১৯ রানে তার শিকার হন। ৮৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সফরকারীরা ঘুরে দাঁড়ায় শিমরন হেটমায়ারের ব্যাটিং ঝড়ে। ৪২ বলে হাফসেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে চা-বিরতির আগে স্বস্তি আনেন মিরাজ। ৪৭ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে মুশফিকের ক্যাচ হন হেটমায়ার।
শেষ সেশনে নাঈমের স্পিনে আর দাঁড়াতে পারেনি উইন্ডিজ। এই অফস্পিনার শেষ সেশনে আরও তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে অভিষেকে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব গড়েন। ২৪৬ রানে সফরকারীদের গুটিয়ে দিতে ১৪ ওভারে ২ মেডেনসহ ৬১ রান দেন নাঈম। সাকিব পান ৩ উইকেট। ডাউরিচ ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/নভেম্বর ২৩, ২০১৮)