দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : চীন থেকে ছয়টি সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানি করছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)। এর বাইরে আরও ছয়টি জাহাজ বিএসসির বহরে সংযোজনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে বিএসসির ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য জানান।

নৌমন্ত্রী বলেন, মেরিটাইম শিল্পে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে কাজ করছে বিএসসি। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ দিচ্ছে বিএসসি। চার বছর ধরে নারী ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। বিএসসির জাহাজ বিশ্বের বন্দরগুলোয় জাতীয় পতাকা বহন করে। তাই দেশের পরিচিতি ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্য বিএসসির উত্তরোত্তর উন্নয়ন অব্যাহত রাখা আবশ্যক।

তিনি আরও বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে রামপাল, মাতারবাড়ী-মহেশখালী, পায়রায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করছে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি হচ্ছে। এসব কয়লা, এলএনজি ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য বিভিন্ন আকার ও ধরনের জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ বলেন, সমুদ্র বিজয়ের মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির পথ সুগম হয়েছে। আমরা ২৫টি জাহাজ বিএসসির বহরে রাখতে চাই। আগামী দুই বছরে ১০টি নতুন জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে বর্তমান সরকার। ইতিমধ্যে দুটি নতুন সমুদ্রগামী জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও চারটি জাহাজ আসবে।

তিনি বলেন, বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানাই বেশি বেশি সমুদ্রগামী জাহাজ কেনার জন্য। সরকার জাহাজ আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।
বিএসসির সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর ইয়াহইয়া সৈয়দসহ অন্যরা।

উল্লেখ্য, কোম্পানিটি বিদায়ী অর্থবছরের জন্য ছয় শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচ্য সময়ে এর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮২ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৬১ পয়সা। এদিকে প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে হিসাববছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৭ পয়সা ইপিএস দেখিয়েছে কোম্পানিটি, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩১ পয়সা।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার বিএসসি শেয়ারের সর্বশেষ দর দুই দশমিক ৩৭ শতাংশ বা ৯০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৮ টাকা ৯০ পয়সায়। দিনভর দর ৩৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩৯ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। সমাপনী দর ছিল ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৩৮ টাকা। এদিন ৪৬০ বারে এ কোম্পানির মোট তিন লাখ ২৯ হাজার ২৯০টি শেয়ারের লেনদেন হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ২৫, ২০১৮)