দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে শেষ মুহূর্তের দরকষাকষি চলছে বিএনপি জোটে। রোববার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরনো ও নতুন মিত্রদের সঙ্গে দফায় দফায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে জোটের নেতৃত্বে থাকা বিএনপি। লক্ষ্য একটাই, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর দীর্ঘ প্রার্থী তালিকা থেকে বিজয়ী হওয়ার মতো জনপ্রিয় ও শক্তিশালী প্রার্থীদের বেছে নেওয়া।

তবে প্রধান শরিক দলের কাছ থেকে বেশি আসন পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে শরিক দলগুলো। বিএনপি সর্বোচ্চ ৬০টি আসন দুই জোটের শরিকদের দিতে চায়।

রোববার (২৫ নভেম্বর) রাত ১০টা পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আসন বণ্টনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক করেন জোটের শীর্ষ নেতারা। সোমবার (২৬ নভেম্বর) আবারও বৈঠকে বসবেন তারা। একই সঙ্গে চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের চিঠি দেওয়া শুরু হতে পারে।

কোনো কোনো আসনে কৌশলগত কারণে একাধিক প্রার্থীকেও মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হতে পারে। অবশ্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ফরমেও প্রার্থীদের স্বাক্ষর রাখা হবে। প্রার্থীজটের কারণে জটিলতা তৈরি হওয়া আসনগুলোর ব্যাপারে আগামী ৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেই চূড়ান্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে শরিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও মনোনয়ন জমা দিতে বলা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এদিকে, এক সপ্তাহ ধরে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার ও বাছাই কাজ সম্পন্ন করে বিএনপি মনোনয়ন বোর্ড। জটিলতার কারণে অল্প কিছু আসন ছাড়া প্রায় সব আসনেই খসড়া প্রার্থী তালিকা করা হয়েছে। রোববার ২০ দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আসন বণ্টন এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা নিয়ে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।

আসন বণ্টন নিয়ে রোববার দুপুরে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৈঠকে ড. কামাল ছাড়াও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে বিএনপি মহাসচিবকে গণফোরামের পক্ষ থেকে ১৮ প্রার্থীর একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করবেন না বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকের বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চার দিন ধরে তারা দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য দল ও ২০ দলের শরিক দলগুলোর নেতাদেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এখন চূড়ান্ত তালিকা তৈরির জন্য তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ঐকমত্যে যাওয়া হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৮ তারিখ। তার আগে শেষ করা হবে।

রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সঙ্গে আবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান বীরপ্রতীক, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট : ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল গণফোরাম প্রথমে ২৮ আসন চাইলেও দরকষাকষিতে ১৮টি আসন দাবি করছে। এর মধ্যে মোস্তফা মহসিন মন্টু (ঢাকা-৭), অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী (ঢাকা-৬), ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর (মৌলভীবাজার-২), গণফোরামে যোগদানকারী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে শাহ রেজা কিবরিয়া (হবিগঞ্জ-১)। এ ছাড়া মফিজুল ইসলাম খান কামাল (মানিকগঞ্জ-৩) ও জানে আলম (চট্টগ্রাম-১০), মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আমীনের (কুড়িগ্রাম-২) জন্য মনোনয়ন চাইবে গণফোরাম। মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকা-২ বা ঢাকা-৩ আসনে নির্বাচন করতে চান। বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমানউল্লাহ আমান ওই দুই আসনে দলীয় প্রার্থী।

গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৪ বা ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর ও কোতোয়ালি) এ দুটি আসনের যে কোনো একটি থেকে মনোনয়ন চান। কিন্তু ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা অলি আহমদ চট্টগ্রাম-১৪ আসনে প্রার্থী। চট্টগ্রামে সমঝোতা না হলে ঢাকা-৬ আসনে সুব্রত চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা চলছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার পরিবর্তনে তার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন মনোনয়ন চাইছেন। এবার সুব্রত চৌধুরীকে চট্টগ্রামে দিলে অলিকে ছাড় দিতে হবে এবং ঢাকায় দিলে খোকার ছেলে ইশরাককে ছাড় দিতে হবে। অসুস্থ খোকার পরিবর্তে তার ছেলেকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি হাইকমান্ডের মনোভাব ইতিবাচক।

সূত্র জানায়, জেএসডিও ১০টি আসন দাবি করছে। তাদের তিনটি আসন দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি। আসনগুলো হচ্ছে- সভাপতি আ স ম আবদুর রব (লক্ষ্মীপুর-৪), তানিয়া রব (ঢাকা-১৮) ও আবদুল মালেক রতন (কুমিল্লা-৪)। জেএসডি এখন আরও দু-একটি আসনের জন্য দরকষাকষি করছে। এসব আসনে রয়েছেন শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন (ফেনী-৩), কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী (ঢাকা-১৪), তৌহিদ হোসেন (চুয়াডাঙ্গা-১), মাসুম এম মহসীন (ঢাকা-১৮) ও বেলায়েত হোসেন (লক্ষ্মীপুর-২)।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নাম টাঙ্গাইল-৪ ও টাঙ্গাইল-৮- এ দুই আসনের একটির জন্য থাকছে। ঢাকা-১৩ আসনেও তার নাম রয়েছে। সে ক্ষেত্রে টাঙ্গাইল-৮ আসনের বদলে কাদের সিদ্দিকী রাজি হলে ঢাকা-১৩ আসন ছাড়বে বিএনপি। এর বাইরে ইকবাল সিদ্দিকী গাজীপুর-৩ আসনে রয়েছেন। গতকাল গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ইকবাল সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, তারা ৪৩টি আসনের জন্য একটি তালিকা ড. কামাল হোসেনের কাছে দিয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র নেতারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তাদের জানানো হয়েছে।

নাগরিক ঐক্য প্রথমে ৩৫টি আসনের তালিকা দিলেও এখন ১০টি নিয়ে দরকষাকষি করছে। খসড়া তালিকায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-২ আসনের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার পর তিনি আরও দু-তিনটি আসনের বিষয়ে জোরালো অবস্থান নেন। এর মধ্যে দলের এস এম আকরাম হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ-২ ও নঈম জাহাঙ্গীরকে জামালপুর-৩ আসনে চায় তারা।

২০ দল : আসন বণ্টন নিয়ে ২০ দলের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই জোটের শরিক দলগুলোকে ৪২টি আসন দেওয়ার বিষয়ে এক ধরনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে আরও দু-একটি আসন বাড়তে পারে বলে মনে করেন তারা।

এলডিপিকে এরই মধ্যে চারটি আসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে বিএনপি। এগুলো হলো- এলডিপির কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (চট্টগ্রাম-১৪), দলের মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষ্মীপুর-১) ও আবদুল করিম আব্বাসী (নেত্রকোনা-২)। তবে দলটির পক্ষ থেকে আরও কিছু আসনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মধ্যে এম ইয়াকুব আলী (চট্টগ্রাম-১২) ও অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ (ময়মনসিংহ-১০) অন্যতম।

সূত্র জানায়, ২০ দলীয় জোটের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ (ভোলা-১), কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (চট্টগ্রাম-৫), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান (পঞ্চগড়-২), মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের রিটা রহমান (নীলফামারী-১), জমিয়তে ওলামায়ের মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস (যশোর-৫), জমিয়তে ওলামায়ের শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সুনামগঞ্জ-৩), বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি কুমার মণ্ডল (যশোর-৪), খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদ আবদুল কাদের (হবিগঞ্জ-৪), এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (নড়াইল-২), জাপা (জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি আই ফজলে রাব্বী (গাইবান্ধা-৩), দলের মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দারের (পিরোজপুর-১) মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়েছে। জাপার পক্ষ থেকে আরও দুটি আসনের জন্য জোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আহসান হাবীব লিঙ্কন (কুষ্টিয়া -২) অন্যতম।

এসব রাজনৈতিক দল ছাড়াও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইদ আহমেদ নারায়ণগঞ্জ-৫, বাংলাদেশ লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান পিরোজপুর-১ আসনে মনোনয়ন চাইছেন।

জামায়াতের সূত্রে জানা গেছে, ৫৩টি আসনের তালিকা দেওয়া হলেও ৩৫টি আসন পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৩৮ আসনে নির্বাচন করা জামায়াত ৩৩টিতে জোটের মনোনয়ন পেয়েছিল। পাঁচটি আসনে বিএনপি ও জামায়াত- দুই দলেরই প্রার্থী ছিল।

গতবারের ৩৩টির ২৭টিতে এবারও জোটের মনোনয়ন চায় জামায়াত। গতবারের উন্মুক্ত পাঁচটি আসনের তিনটিতে জামায়াত দ্বিতীয় হয়েছিল। বিএনপির অবস্থান ছিল তৃতীয়। এগুলোতে এবার জোটের মনোনয়ন চায় জামায়াত। ৩০টি ছাড়াও নতুন করে রাজশাহী-১, বগুড়া-৪, ঢাকা-১৫, সাতক্ষীরা-১ ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মনোনয়ন চাইছে তারা।

জামায়াতের চাওয়া ৩৫টি আসনের মধ্যে নীলফামারী-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, রাজশাহী-১, চুয়াডাঙ্গা-২, ঝিনাইদহ-৩, ঢাকা-১৫ ও চট্টগ্রাম-১৬ আসনে বিএনপি এরই মধ্যে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে।

এদিকে, জামায়াত ৫৩ আসনের তালিকা দিলেও বিএনপি তাদের যেসব আসন ছাড়তে পারে সেগুলো হলো :ঠাকুরগাঁও-২ মাওলানা আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ মাওলানা আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-৩ মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, লালমনিরহাট-১ আবু হেনা মো. এরশাদ হোসেন সাজু, রংপুর-৫ অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রাম-৪ নূর আলম মুকুল, গাইবান্ধা-১ অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা-৪ ডা. আবদুর রহীম সরকার, বগুড়া-৪ মাওলানা তায়েব আলী, সিরাজগঞ্জ-৪ রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-১ আবদুল বাসেত, পাবনা-৫ ইকবাল হোসাইন, যশোর-২ আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট-৪ আবদুল আলীম, খুলনা-৫ মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আবুল কালাম আযাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-২ শামীম সাঈদী, সিলেট-৫ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৬ মাওলানা হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম ও কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আজাদ।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ৩০ ডিসেম্বর। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ২৬, ২০১৮)