বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি প্রকল্পে কর্মরত ৩৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহিবুল হক স্বাক্ষরিত অব্যাহতিপত্র শুক্রবার সকালে চাকরিচ্যুতদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আকস্মিক চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছে চাকরিচ্যুত পরিবারগুলো। অব্যাহতি দেওয়ার খবর শুনে অনেক কর্মচারী কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এদিকে, হঠাৎ করে ৫ কর্মকর্তা ও ৩০ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বন্দরে। বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন কঠোর সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের মতে, একসঙ্গে ৩৫ জনকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনা বিরল।

বন্দর সচিব তৌহিদুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে জানান, নিয়ম মেনেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

চাকরিচ্যুত ইমান আলী ও মফিজ উদ্দিন জানান, কর্মকর্তার লোভের কারণে চাকরি হারাতে হয়েছে তাদের। তাদের অভিযোগ, পরিচালক (প্রশাসন) মুহিবুল হকের মেয়ের জামাইয়ের পদোন্নতিকে ঘিরে এরকম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিচালকের মেয়ের জামাই সাইফুল ইসলামকে এরই মধ্যে সহকারী প্রকৌশলী থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বন্দর প্রবিধানমালা অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের এনসিটি, গ্যান্ট্রি ক্রেন, পোর্ট সিস্টেম (মাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প) ও ৩৩ কেভি প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন ৩৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর মধ্যে নাছির উদ্দিন ও খাদেমুল বাশার নির্বাহী প্রকৌশলী পদে চাকরিরত ছিলেন।

এ বিষয়ে পরিচালক (প্রশাসন) মুহিবুল হক দ্য রিপোর্টকে জানান, প্রকল্প পরিচালনায় যে সব শর্ত রয়েছে তা পূরণ করতে না পারায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আইন কর্মকর্তা আহসান তারেকের মতামতের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার বোর্ড সভায় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় বন্দর চেয়ারম্যান ও সব বোর্ড সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচ/এএস/এজেড/এনআই/মার্চ ০৭, ২০১৪)