নির্বাচনে প্রথমবারের মতো কাজ করবে গ্রামপুলিশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো গ্রামপুলিশ ব্যবহার করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অর্থ বরাদ্দবিষয়ক সভাশেষে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্ব) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
নির্বাচন কমিশনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এ বছর আমরা নতুন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছি। সেটি হল- এ বছর থেকে গ্রামপুলিশকে নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা তফসিল ঘোষণার সময় বলেছেন- প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী থেকে ৬ লক্ষাধিক সদস্য মোতায়েন করা হবে। তাদের মধ্যে থাকবে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
সারা দেশে দফাদার ও মহলদার মিলে গ্রামপুলিশের সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। দশম সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৪-১৬ জননিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। আর র্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা ছিলেন টহলে।
ওই নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ভোট হয়, ১৫৩ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা। দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকায় ভোটের সময় সশস্ত্র বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্যের সঙ্গে ছিলেন অন্তত ৮০ হাজার পুলিশ, আট হাজার র্যাব, ১৬ হাজার বিজিবি ও প্রায় সোয়া ২ লাখ আনসার সদস্য।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, গতবার নির্বাচন আয়োজনে ব্যয় হয় প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৮৩ কোটি টাকাই লেগেছে আইনশৃঙ্খলা খাতে। পুরো ৩০০ আসনে ভোট করতে হলে খরচও সে অনুযায়ী দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৭০০ কোটি টাকার খাতওয়ারি বরাদ্দ অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন।
৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বুধবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে। ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের পর ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রাখা হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ২৮, ২০১৮)