গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: জেলার মুকসুদপুরে মিতালী হালদার (২১) নামের এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে মুকসুদপুর উপজেলার কলিগ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মিতালী হালদার ওই গ্রামের তাপস বাড়ৈর স্ত্রী ও ২০১৭ সালে কলিগ্রাম বঙ্গরত্ন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে।

স্থানীয়রা জানান, ৮ মাস আগে কলিগ্রামের বিশ্বনাথ বাড়ৈর ছেলে তাপস বাড়ৈ পার্শ্ববর্তী গোয়ালগ্রামের মনীন্দ্র হালদারের মেয়ে মিতালী হালদারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। পারিবারিক অশান্তির কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।

নিহত মিতালী হালদারের ভাই অশোক অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আমার বোনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিলো। শুক্রবার তারা আমার বোনের কাছে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমার বোন টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারপিট করে হত্যার পর লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এখন আত্মহত্যা বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

গোপালগঞ্জের মুকুসুদপুর উপজেলার সিন্ধিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/ডিসেম্বর ০১, ২০১৮)