২০১৯ সাল হবে পুঁজিবাজারের জন্য উল্লেখযোগ্য বছর: খায়রুল
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেছেন, ২০১৯ সাল হবে পুঁজিবাজারের জন্য উল্লেখযোগ্য বছর।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (সাবেক শেরাটন) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কে দেয়া
তিনি বলেন, বাজার স্থিতিশীল এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে অর্থমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় অবদান রয়েছে । তার নির্দেশনায় স্টক এক্সচেঞ্জ দ্রুত ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন হয়েছে। এখন বাজারের ভিত্তি মজবুত হয়েছে। বাজার সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। বাজারে আইনগত ভিত্তি তৈরী হয়েছে। এখন প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে। বাজার উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় স্মল ক্যাপ ও ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলম্যান্ট হাউজ গঠন করা হচ্ছে। এতে বাজার টেকসই হবে। ফিক্সড ইনকাম সিউরিটিজ চালু করতে পারলে মানুষ সঞ্চয়পত্রের দিকে আগ্রহ হারাবে। এতে বাজারমুখি হবে সাধারন মানুষ।
অর্থমন্ত্রীর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমি যখন আইসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেলাম তার কিছুদিন পর অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনি আমাকে সব সময় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। পরবর্তীতে বিএসইসির চেয়ারম্যান হলে তিনি পুঁজিবাজার সম্পর্কে সব সময় সহযোগিতা করেছেন। তার আত্মত্যাগ অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তিনি পুঁজিবাজারের যেকোন প্রয়োজনে এগিয়ে এসেছেন।
খায়রুল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অডিটরদের কাজের সুবিধার্থে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে। ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের গন্তব্য হিসেবে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে অর্থনীতির যে উন্নয়ন হয়েছে সেটা মুহিত স্যারের অবদান। আর এজন্য তাঁর নাম স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে। তাকে বাদ দিয়ে উন্নয়নের ইতিহাস লেখা সম্ভব হবে না।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থনীতিকে এনে দিয়েছেন এক নতুন মাত্রা। পুঁজিবাজারে অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য তিনি কাজ করে গেছেন।
কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা হচ্ছে বাজারের প্রধান উন্নয়ন। আর বাজার স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রীর নিকট যেকোনো বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি তাৎক্ষনিক সমাধান করে দিয়েছেন।একটি পুঁজিবাজার যে সামগ্রিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সাবেক কমিশনার আরিফ খান বলেন, একটা প্রবাদ আছে-বৃক্ষ তোমার নাম কি ফলে পরিচয়। আমাদের অর্থমন্ত্রীর ফলেই পরিচয় দেখিয়ে দিয়েছেন। দেশের জিডিপি গ্রোথ, এক্সপোর্ট, করপোরেট গভর্ণ্যান্সের দিকে তাকালে বুঝা যায় অর্থমন্ত্রীর অবদান কতটুকু। পুঁজিবাজারে চায়না কনসোর্টিয়ামের অংশগ্রহনও কিন্তু অর্থমন্ত্রীর অবদান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমিশনের নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদ বলেন, অর্থমন্ত্রী আমাদের পিতৃসম। তিনি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারের ধসের সময় পাশে না দাঁড়ালে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হতো না। সেই সময় আমরা সারাদিন কাজ করে বিধ্বস্ত অবস্থায় স্যারের (অর্থমন্ত্রী) বাসায় যেতাম। যখন যে কাজের জন্য যেতাম তা সমাধান করে দিতেন তিনি। কখনও খালি হাতে ফিরতে হয়নি আমাদের।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. মোঃ খায়রুল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিএসইসির কমিশনার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮)