এ্যানির মামলার বৈধতার রায় ১০ জানুয়ারি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দায়ের করা দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির আবেদনের (রিভিশন) রায় ঘোষণার জন্য ১০ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে এ্যানির পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন জানান আইনজীবী জহিরুল হক সুমন। এ সময় দুদকের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। রাজধানীর রমনা থানায় দুদকের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এ ছাড়াও দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৬৭০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়।
তথ্য গোপনের বিষয়ে মামলার এজাহারে বলা হয় জমি ক্রয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ তিনি ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকা এবং লক্ষ্মীপুরের কুশখালীতে তার নামে স্কুলে অনুদান বাবদ ১০ লাখ টাকা অর্থাৎ মোট ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানা যায়, এ্যানির দেয়া তথ্য অনুসারে স্থাবর-অস্থাবর ও অপ্রদর্শিত সম্পদ মিলিয়ে মোট ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৬ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। যার মধ্যে দায় হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। অর্থাৎ দায় বাদ দিয়ে তার নিট সম্পদের পরিমাণ হয় ৩ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৭ টাকা। যেখানে ২০১৩ সালের ৩০ জুন দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণী অনুসারে তার ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এরপর ২০১৬ সালের ২৪ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত এ্যানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। কিন্তু সে অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আবেদন (রিভিশন) করলে বিচারিক আদালতে তার বিরুদ্ধে চলমান দুদকের মামলাটির কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিতসহ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সে রুলের ওপর গত ৫ ডিসেম্বর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রায়ের দিন ধার্য রেখেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু তার আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় ঘোষণার জন্য ১০ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮)